করোনা : রাজশাহীতে একদিনে তিন মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিনে দুইজন করোনা রোগী মারা গেছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য নির্ধারিত রাজশাহীর খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা গেছেন। তার করোনার উপসর্গ ছিলো। তবে নমুনা পরীক্ষার আগেই তিনি মারা গেছেন।

আয়েন উদ্দিন

এই তিনজন মঙ্গলবার মারা গেছেন। করোনায় মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। অন্যজন নওগাঁর তেবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। আর উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীর নাম রজদুল ইসলাম (৬৫)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জয়ন্তপুরে তার বাড়ি। পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

করোনায় মোহনপুরের মৃত ব্যক্তির নাম লুৎফর রহমান (৫২)। তার বাড়ি উপজেলার বাকশিমইল গ্রামে। তিনি মোহনপুরের মহিষকুণ্ডি মাদ্রাসার শিক্ষক। তার স্ত্রী গুলনাহার বেগম মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এতে অংশ নেন স্থানীয় এমপি আয়েন উদ্দিন।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লুৎফর রহমান মারা যান। আগের দিন সোমবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। আর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত শনিবার (০৬ জুন)।

এদিকে নওগাঁর মৃত ব্যক্তির নাম মুস্তাফিজুর রহমান (৬৩)। গত রোববার থেকে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে সোমবার রামেক হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত দুই ব্যক্তির লাশ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে দেয়া হয়েছে দাফনের জন্য। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, তার শারীরিক নানা সমস্যা ছিলো। ফুসফুসে ক্যান্সার ছিলো। পেটে পানি জমে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে করোনারও উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।


শর্টলিংকঃ