রাজশাহীতে গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।


আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্ত্বরে ২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতিকৃতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের নেত্ববৃন্দ।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা স্মৃতিচারণ করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২১ আগস্ট সেদিনের সমাবেশে আমিও উপস্থিত ছিলাম। মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে নেত্রীর বক্তব্য শুনছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকট একটা শব্দ হয়। প্রথম শব্দে কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। এর কয়েক সেকেন্ড পর আরেকটি বিকট শব্দ হয়। তখন বুঝতে পারি কিছু একটা ঘটেছে।

এরপর মানুষের ছুটোছুটিতে ধাক্কায় আমি পড়ে যাই। আমার উপর দিয়ে কত মানুষ যে চলে যাই। এরপর আমি যখন উঠে দাঁড়াই, তারপর আরেকবার পড়ে যাই। পরেরবার উঠে যখন দাঁড়িয়েছি, দেখলাম গাড়ির সিটে বসে কিছুটা সামনের দিকে হেলে গালে হাত দিয়ে আছেন নেত্রী। গাড়ির জানালায় তাজা রক্ত। কিছুক্ষণ পরই আমার সামনে দিয়ে নেত্রীর গাড়ি চলে গেল। ঘটনাস্থল থেকে যে যেভাবে পারছে, আহতদের রিকশা, ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।

মেয়র বলেন, সেদিনের মঞ্চে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের প্রায় সকল শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার কুপুত্র তারেক জিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের একসাথে হত্যার নীলনকশা করেছিল। এমনকি ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরত গ্রেনেড পরবর্তীতে বিস্ফোরিত করে আলামত নষ্ট করা হয়েছিল।

মেয়র আরো বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেদিন যদি জননেত্রী ভাগ্যক্রমে বেঁচে না যেতেন, তাহলে এই উন্নয়ন হতো না। মহান আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করবেন-এই জন্যেই হয়তো সেদিন নেত্রী বেঁচে গেছেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ