রাজশাহীতে দিনেদুপুরে অটোতে ছিনতাই : সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল ৫ যুবক


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী নগরীতে দিনে দুপুরে দুই লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় এঘটনার ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর সোমবার ৫ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে মহানগর ডিবি পুলিশ। তাদের কাছে থেকে ছিনতাই হওয়া এক লাখ ৩১হাজার টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।

 

আটকৃত ছিনতাইকারীরা হল- ফজলে রাব্বি (২৪), উজ্জ্বল ওরফে কটা (২৩),  রিয়াজ (২৬), জীবন ওরফে রাজু (২৪) ও  মিঠু (২৮)। এদের মধ্যে মিঠু বাদে সবার বিরুদ্ধেই মামলা আছে।

পবা উপজেলা মাছচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম (মেজো ) জানান, ‘মেসার্স সাঈদ ফিসারিজ ফার্ম’ নামে  তার মাছের খামার রয়েছে।শনিবার তার খামারের ম্যানেজার গোলাম সারোয়ার ও মাহাবুব ঢাকা থেকে মাছ বিক্রি করে বাসায় ফিরছিলেন। তারা বিকেল সোয়া তিনটার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে নওহাটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাটারিচালিত অটোতে উঠেন। সেখানেই অপর ৫ব্যক্তি ওই অটোতে যাত্রীবেশে ওঠেন। অটোটি নগরীর শালবাগানে পৌঁছলে যাত্রীবেশী ৫ ছিনতাইকারী সারোয়ার ও মাহবুবের কাছে থাকা দুই লাখ কুড়ি হাজার টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

পরে বিসিক পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগীরা কিন্তু ফাঁড়ির  ইনচার্জ এস আই শামিম অভিযোগ না নিয়ে  ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারাই জড়িত বলে উল্টো হুমকি দেন। এসময় তিনি ওই টাকার মালিক সাদিকুল ইসলামকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে এনে তার ম্যানেজার সারোয়ার ও মাহবুবের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করতে বলেন।

কিন্তু সাদিকুল এসআই শামীমকে জানান, তারা দুজনই তার বিশ্বস্ত কর্মচারী। তারা এঘটনায় জড়িত থাকতে পারে না। এতে এসআই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে কোনো অভিযোগ করতে না চাইলে এসআই শামীম তার মুচলেকা লিখে নেন।

এদিকে, পরে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতে পারেন। এরপর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে। ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশের এক ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওই ফুটেজ দেখেই পাঁচ ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করা হয়।এরপর নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এবিষয়ে বিসিক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও সারোয়ার ও মাহাবুবের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এ কারণে সন্দেহ করা হচ্ছিল, তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। তবে পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এবিষয়ে খামারের ম্যানেজার সারোয়ার বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। এরা এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। আগে থেকেই মামলাও আছে। তবে এঘটনায় মামলার পর আটকৃতদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে ।


শর্টলিংকঃ