রাজশাহীতে দ্রুতগতিতে চলছে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ নির্মাণ কাজ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে দ্রুতগতিতে চলছে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে ৭২০টি পাইলিং সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে- ম্যাট ঢালাইয়ের কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামি বছরের জুনের দিকে শেষ হতে পারে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ নির্মাণের কাজ বলে জানিয়েছেন- রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) প্রজেক্ট ডিরেক্টর শেখ কামরুজ্জামান।


তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে থাকবে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল, করা হবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, দর্শন ও সুদূর প্রসারি ভাবনা সম্পর্কে ধারণা মিলবে। থাকবে চিলেকুঠাও।

সরেজমিনে কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা জানান- দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে রাত-দিন কাজ করছেন তারা। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর তালাইমারি চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে প্রকল্পের সার্বিক খোঁজখবর নেন মেয়র।

এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির অহংকার। তিনি ছিলেন বলেই আজ আমরা মুক্তিভাবে জীবনযাপন করছে। এমন গুনি মানুষের নামে রাজশাহীতে কিছু থাকা মানে গর্বের বিষয়। ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ সম্পন্ন হলে বহু মানুষ দেখতে আসবে।

পরিদর্শনকালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী হায়দার আলী, উপ-সহকারী মীর শাহরিয়ার সুলতান পরাগ, রিথিন এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার তৌরিদ আল মাসুদ রনি, শামসুজ্জামান রতনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার চেতনা সমুন্নত রাখতে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। আর নির্মাণ কাজের ব্যায়-২৯ কোটি ২৫ লাখ, ৪৫ হাজার ২৪৭ দশমিন তিন চার টাকা। প্রকল্প মেয়াদ নভেম্বর ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত নির্ধারিত আছে।

এক দশমিক ৪২ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু স্কয়ারটির বেজমেন্টের মধ্যে গাড়ি পার্কিং, আর্ট গ্যালারি এবং জলধারা বেষ্টিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা হবে। এছাড়া ৬ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭১ বর্গমিটার বিশিষ্ট গ্রাউন্ড ফ্লোর হবে।

যেখানে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং এবং ডিজিটাল স্ক্রিন যুক্ত স্থায়ী আর্ট গ্যালারি এবং মিউজিয়াম থাকবে। এক হাজার ৫৭৬ দশমিক ৮৬ বর্গমিটার বিশিষ্ট ফার্স্ট ফ্লোরের মধ্যে আধুনিক রেস্তোরাঁ, দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপ, উম্মুক্ত স্থানে বসা এবং সুস্থধারার বিনোদনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে।

এছাড়া, অত্যাধুনিক তিনটি লিফট, জেনারেটর, সোলার প্যানেল এবং ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য সাব-স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫১ মিটার রাস্তারও উন্নয়ন করা হবে। তাছাড়া স্কয়ারের ইন্টিরিয়র ও ল্যান্ডস্কেপিং কাজ হবে।

সংশ্লিষ্টদের ধরনা- ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ কেবল রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্য বর্ধনই করবে না, বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে। এর মধ্যদিয়ে আজ ও আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে সমুন্নত রাখা হবে।

আরডিএ প্রজেক্ট ডিরেক্টর শেখ কামরুজ্জামান আরও জানান, এখানে বিভিন্ন জটিলতা ছিলো। সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রচেষ্টায় কাজ দ্রুত শুরু করা সম্ভব হয়েছে। বিষয়টি তিনি গুরুত্বসহ না দেখলে কাজ শুরু হতে অনেক দেরি হতো। তিনি সার্বক্ষনিত দেখভাল করেন। এখন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, সেই লক্ষে রাত-দিন কাজ করছে শ্রমিকরা।


শর্টলিংকঃ