রাজশাহীতে নানা আয়োজনে জন্মাষ্টমি পালিত


সনাতন ধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আজ শুভ জন্মতিথি। এই মহাপুণ্য তিথিতে কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত কোল আলো করে এসেছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আজ হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছিলেন।


জন্মাষ্টমি উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নগর শাখার উদ্যোগে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টস্থ হুনুমান আখড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে এক বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিন করে পূনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নগরের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ প্রমুখ।

এদিন ভক্তি, শ্রদ্ধা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে হিন্দু ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে গীতাযজ্ঞ, আনন্দ শোভাযাত্রা, কৃষ্ণপূজা, আলোচনাসভা, কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণসহ নানা আচার পালন করবেন হিন্দুপুরাণের বর্ণনায়, শ্রাবণের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম তিথির মধ্যরাতে মথুরার রাজা কংসের কারাগারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।

 

সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা অবতার কৃষ্ণের জন্ম তারিখে উদযাপন করে জন্মাষ্টমী। শান্তি, কল্যাণ ও মানবতাবোধের শক্তিতে প্রাণিত হয়ে অসত্য ও অন্যায়ের অবসান ঘটানোই দিবসটির মূলকথা।

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।


শর্টলিংকঃ