- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

‘পদ্মার স্রোত ঠেকাতে ফেলা হয়েছে কোটি টাকার বালু’


বিশেষ প্রতিবেদক :

রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমা না ছুঁলেও আতঙ্ক কাটছে না টি-বাঁধ নিয়ে। পানি বাড়লেই এটি রক্ষার জন্য শুরু হয় তোড়জোর। কিন্তু শুকনো মওসুমে কোনো খবর রাখে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুধু তাই নয়, পুলিশ লাইনের সামনে দুই কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ করার পর থেকে গেল দু’বছরে কেবল রক্ষণাবেক্ষণেই খরচ হয়ে গেছে আরো এক কোটি টাকা। এভাবে প্রতিবছরই বিপুল টাকা গচ্চা যাচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না

রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনের সামনে উত্তাল পদ্মায় ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে,  জেলা পুলিশের লাইনের সামনে উত্তাল পদ্মায় নৌকায় করে ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। কারণ, এ স্থানে এবারো আঘাত হানতে পারে পদ্মা- এমন আশংকা আছে। তা বালু বস্তা ফেলে পানির  স্রোতের গতি কমানোর চেষ্টা চলছে। যাতে এখানে এসে ধাক্কা দিতে না পারে। এজন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম বলছেন, অথচ ২০১৭ সালে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে এখানেই দেড়শ’ মিটার সংস্কারকাজ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও পিছু ছাড়ে নি ভাঙন। এখানে ভাঙন ঠেকাতে গত দু’বছরে প্রায় এক কোটি টাকার কেবল বালুর বস্তাই ফেলা হয়েছে পানিতে।

এদিকে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ টি-বাঁধ। নানা কারণে এ বাঁধটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর পদ্মায় পানি বাড়লেই ভাঙন ঠেকাতে তোড়জোর শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু স্থায়ী সংস্কার হচ্ছে না।

এবিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সরকারের পানি বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য ড. চৌধুরী সারোয়ার জাহান ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে বলেন, সরকারের বহু প্রকল্পে বিপুল টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় প্রকল্পগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় না। ফলে যখন জরুরি সংস্কারের দরকার পড়ে তখন থোক বরাদ্দ দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু স্থায়ী সংস্কার হয় না। এভাবে চলতে থাকায় সরকারের অর্থের অপচয়ও হচ্ছে।

তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানিয়েছেন, টি-বাঁধ সংস্কারের প্রায় সোয়া ৬কোটি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সাড়া দেয় নি মন্ত্রণালয়। টাকা পেলে স্থায়ী সংস্কারে হাত দেয়া হবে।