Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহীতে বাইক রেসে প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রের


নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাইক দৌড় দিতে গিয়ে রাজশাহীতে জুবায়ের হোসেন অন্তর (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র মারা গেছেন। নিহত অন্তর নগরীর আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে। অন্তর নগরীর হড়গ্রাম টেকনিক্যাল বিজনেস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাবার গ্লামার ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলটি নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই সড়কে বাইক রেস দিতে বের হয়ে যেত অন্তর। তার বাইক রেসের এই নেশার বিষয়ে পরিবারেরও অজানা ছিল না। কিন্তু তার জেদের কাছে হার মানে বাবা-মা।

রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কোর্টস্টেশন- দারুসা সড়কে ফুফাত ভাই ও কয়েক বন্ধুর সঙ্গে ৩টি মোটরসাইকেল নিয়ে বাইক রেসে বের হয়ে যায় অন্তর। উদ্যাম ঘোড়ার মতো তারা বাইক রেস খেলছিল নতুন এ সড়কটিতে।

লোকজন বলেও তাদের থামাতে পারেনি। রাত ১০টার দিকে দারুসা সড়কের সুতাহাটি এলাকায় আকস্মিকভাবে সামনে থেকে আসা মুরগিবোঝাই একটি নসিমনের সঙ্গে জোরে ধাক্কা লাগে অন্তরের মোটরসাইকেলের। ফলে সড়কে একপাশে ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেলটি।

ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় নসিমনটিও। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে অন্তর সড়কের আরেক পাশে গিয়ে পড়ে ও রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্তরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই মর্মান্তিক বাইক রেসে থাকা অন্তরের বন্ধুরা ঘটনার পর পরই তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।

আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি মনসুর আলী আরিফ জানান, মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্তের পর সোমবার বিকালে স্কুলছাত্র অন্তরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানাজা শেষে সন্ধ্যার আগে হড়গ্রাম গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

অভিযোগ রয়েছে- নগরীর সড়কে বেপরোয়া বাইকচালকদের দাপাদাপিতে অতিষ্ঠ নগরীর মানুষও। তাদের মধ্যে কিশোর বালকরাও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায়ই দাপিয়ে বেড়ায় সড়কগুলোতে। তিন-চারটে মোটরসাইকেল এক হয়ে বাইস রেসও শুরু করে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে নগরীতে। প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই।

এসব অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা রোধ ও বাইক রেস রুখতে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে আরএমপির ডিসি ট্রাফিক অনির্বাণ চাকমা বলেন, সড়কে অন্তরের মতো কিশোর বালকদের অকালমৃত্যু খুবই দুঃখজনক। এসব ঘটনা ঠেকাতে পরিবারকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে।

কিশোর বালকদের হাতে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেয়া বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ বাইক রেসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ খেলা ঠেকাতে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে আরও তৎপর হচ্ছে বলে জানান তিনি। তথ্যসূত্র : যুগান্তর


Exit mobile version