রাজশাহীতে বিয়ে করে জামিন পেল আসামি


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী কারা ফটকে বিয়ে করা ধর্ষণ মামলার আসামি গোদাগাড়ী উপজেলার দিলীপ খালকোকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আইনজীবীরা জানান, খালাতো বোনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কের সুযোগে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দৈহিক মেলামেশা করেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামের সিতানাথ খালকোর ছেলে দিলীপ খালকো। এক পর্যায়ে ওই মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর বিয়েতে রাজি হননি তিনি। পরে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড নিয়ে ২০১২ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন সেই যুবক।

সম্প্রতি আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ভিকিটিম (মেয়েটি) এখানে আছে। তারা বিয়েতে রাজি। এরপর আদালত কারাবন্দি আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে কারা ফটকেই বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালতের এ আদেশের পর কারা ফটকে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিয়ে সম্পন্ন করে কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর বিষয়টি উচ্চ আদালতকে অবহিত করা হয়।

আইনজীবীরা জানান, দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভিকটিম) মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈহিক সম্পর্কে জড়ান দিলীপ খালকো। এতে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারপর দিলীপ আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে একই সালের ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ী থানায় দিলীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় আসামির ২০১২ সালের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন আদালত।

সেই থেকে থেকে দিলীপ কারাবন্দি। সম্প্রতি দিলীপ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ধর্ষণের ফলে ভিকটিমের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার বয়স এখন আট বছর। সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। গত শনিবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বাবা-মায়ের বিয়ের সময় সেও উপস্থিত ছিল।


শর্টলিংকঃ