রাজশাহীতে বিসিএসআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ ৪৬ জন সংক্রমিত


নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার (বিসিএআইআর) রাজশাহী কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম শামসুল আলমসহ গত ২৪ঘণ্টায় আরো ৪৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর তাদের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস মো. খায়রুল আতাতুর্ক জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবে ৯৩জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২০জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩জন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা।

সংক্রমিতরা হলেন- বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম শামসুল আলম(৫৯) ও গাড়ি চালক জয়নাল আবেদিন (৩৫), নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিরাজ খান (২৫), রামেক হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী সুমেন (৩০), রামেক হাসপাতালের লিয়াকত আলী (৬০), খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাকলাইন (৩২), মিশন হাসপাতালের রোগী নাজমুন্নাহার (২৯), সাহানারা (৪৫), বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী বকুল(২৮), সাগরপাড়া এলাকার মতুর্জা আলী (৪০), মলিহা(৭), জাহিদ হাসান পারভেজ(২৫), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কেরামত আলী (৬৫), ২০ নম্বর ওয়ার্ডেরর মিম আক্তার(১৯), সানজিম (৩), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল (৫৫), ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেএম মনিরুজ্জামান(৩২), আইরিন (২০) ও সিটি করপোরেশনের কর্মী মাহমুদুন্নবী (৪৭)।

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে মোট ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাবনায় বাড়ি ১৪ জনের। সাতজনের বাড়ি নাটোর। অন্য পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী নগরী।  রাজশাহী নগরী ও জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২০১ জন।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার রাজশাহীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাফিস হাসান জানান,  প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম শামসুল আলম ও গাড়ি চালক জয়নাল আবেদিন রনির উপসর্গ দেখা দেয়ায় জরুরিভিত্তিতে করোনা টেস্টের জন্য গত মঙ্গলবার সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্সকর্তা ও গাড়ি চালকের সংস্পর্শে আসা মোট ৫জনের টেস্টের অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেবলমাত্র দুজনের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। তাদের দুজনেরেই পজিটিভ। কিন্তু পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ বাকি তিনজনের নমুনা নেয়া হয় নি। ফলে তারাও আতঙ্কে পড়েছে। জরুরিভিত্তিতে টেস্ট করা প্রয়োজন।


শর্টলিংকঃ