নিজস্ব প্রতিবেদক :
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) দিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীতে ট্রেন পাঠানোর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের চালকসহ (লোকো মাস্টার) তিনজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরাখাস্তকৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকোমাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেন-২।
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন সোমবার সন্ধ্যায় জানান, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আবদুস সোবহানকে প্রধান করে তিনি সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
তাদেরকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই কমিটির সদস্যরা আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে মূল চালক ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী পাঠানো হয় ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। ঘটনাটি জানাজানির পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দায়ী তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এর পর তদন্ত কমিটি গঠন করে।
‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের চালক আসলাম উদ্দিন খান মিলন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় গতকাল রোববার তিনি নিজে ট্রেনে না চালিয়ে তার সহকারী চালক আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী পাঠান। এ ঘটনাটি ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) অবহিত হলেও তিনি কর্তৃপক্ষে জানাননি।
উল্টো সহকারী লোকো মাস্টার আহসান উদ্দিন আশাকে নিয়ে যাত্রী বোঝাই ট্রেন চালিয়ে পাবনা থেকে রাজশাহী চলে যান। যদিও ট্রেনের পরিচলনার নিয়মে এটি নেই। মূল লোকো মাস্টারসহ দুইজনকে অবশ্যই ট্রেনের লোকো ইঞ্জিনে থাকতে হবে।
এর ব্যত্যয় হওয়ায় পাবনার পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে (পরিচালক) এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশীষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়া আজ গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত একটি কমিটিও।
