রাজশাহীর আমের মোবাইল অ্যাপভিত্তিক বিক্রয় সেবা বেশ সাড়া ফেলেছে


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর আমের মোবাইল অ্যাপভিত্তিক বিক্রয় সেবা বেশ সাড়া ফেলেছে। ইংরেজিতে ‘Rajshahi mango’ আর বাংলায় ‘রাজশাহীর আম’ নামে চালু হওয়ায় এই অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে দেশের যেকোনো প্রান্তে রাজশাহীতে উৎপাদিত আম পাবে ভোক্তারা। একই সঙ্গে থাকবে রাসায়নিকমুক্ত আম পাওয়ার নিশ্চয়তা।

অ্যাপভিত্তিক আম বিক্রয় সেবার উদ্যোক্তা হাসান তানভীর ২০১৩ সালে তার নিজের বাগানের আম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেবাকে আরও সহজ করার জন্য তিনি এবার মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু করেছেন। গত ৩০ মে রাজশাহী জেলা প্রশাসক অ্যাপের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তবে ওই সময় শুধু গোপালভোগ আম সরবরাহ করা হয়।

অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী- আগামী ১২ জুন থেকে ল্যাংড়া, তোতাপুরী, সূর্যপুরী এবং ১৩ জুন থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত আম সরবরাহ করা হবে। এছাড়া আম্রপালি, ফজলি, আশ্বিনা, হাড়িভাঙ্গা জাতের আম জুলাইয়ের প্রথম দিকে পাওয়া যাবে।

জানতে চাইলে উদ্যোক্তা হাসান তানভীর জানান, অ্যাপটি যেকোনো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যাবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনা মূল্যে ‘রাজশাহীর আম’ নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। নিজের তথ্য দিয়ে সেখানে নিবন্ধন করতে হবে। এরপরই আগ্রহী ক্রেতা পৌঁছে যাবেন রাজশাহীর আমের ভুবনে।

তিনি আরও জানান, সেখানে আমের ছবি, বর্তমান দাম এবং যারা আগে এই অ্যাপ থেকে আম কিনেছেন তাদের মতামত দেখা যাবে। আমের পরিমাণ নির্ধারণ করে পেমেন্ট অপশনে যেতে হবে। মূল্য পরিশোধ করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং, সরাসরি ব্যাংক পেমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো ক্রেতার আরও কিছু জানার থাকলে এই অ্যাপের কল অপশন ব্যবহার করে বিক্রেতার সঙ্গে সরাসরি কথাও বলে নিতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ থেকে অ্যাপে আসার কারণ জানতে চাইলে হাসান তানভীর বলেন, ‘তার ফেসবুক পেজে এখন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার অনুসারী। ক্রেতাদের সেখানে এত চাপ যে তাদের পক্ষে ক্রেতাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফোনকলের মাধ্যমে বুকিং নিতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। আবার অনেক ক্রেতা মোবাইল ফোনে কথা বলে সময় নষ্ট করতেও চান না। তারা অ্যাপে ঢুকে দেখেশুনে অর্ডার নিশ্চিত করতে পছন্দ করেন।’


শর্টলিংকঃ