Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহীর উন্নয়নে প্রস্তুত হচ্ছে মাস্টারপ্লান


নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে রাজশাহী উন্নয়নের লক্ষ্যে চায়নার একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের। সোমবার দুপুরে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায়পাওয়ার চায়না কোম্পানির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে নগরীর মাস্টারপ্ল্যানের এতটি খসড়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে। এসময় রাজশাহী উন্নয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠান রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান বজলার রহমানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রাজশাহীকে নতুন প্রজন্মের জন্যে উপযোগী করে সাজানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখে উচ্চভিলাষী মনে হতে পারে। তবে আজ থেকে ২০ বছর পর এটি মনে হবে প্রয়োজন। রাজশাহীকে ঢাকার মতো অবস্থায় দেখতে চাই না। মাস্টারপ্ল্যান করছি, সুন্দর-মনোরম রাজশাহী তৈরিতে। নতুন প্রজন্মের জন্য রাজশাহীকে প্রস্তুত করে রেখে যেতে চাই। ইতোমধ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর অনেক সুনাম আছে। আমাদের সবদিকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আগামীতে সভা হবে। মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হবার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে কাজ শুরু হবে। আমরা দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে চাই।

সভায় পাওয়ার চায়না কোম্পানির মি. এ্যান্ড্রু পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে খসড়া মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করেন। এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়।

সূত্রমতে, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এরপর তিনি চায়না বৃহত্তর একটি কোম্পানি পাওয়ার চায়নাকে মেয়রের কাছে পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির সাথে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম সভা এবং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত। উক্ত সভায় পাওয়ার চায়না সিটি কর্পোরেশনের চাহিদা অনুযায়ী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে উন্নয়ন কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার উভয় পক্ষের মধ্যে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হলো।

উন্নয়ন প্রজেক্টে অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার চায়না। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, পদ্মা নদীরধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা।

রাজশাহীতে জেনারেল এবং স্পেশালাইজড হাসপাতাল গড়ে তোলা।

হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। পঞ্চমতঃ গণপরিবহণ, সম্প্রসারিত রাস্তা, আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার করার কথা রয়েছে। উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্তের পর সিটি কর্পোরেশন ও পাওয়ার চায়নার মধ্যে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, এডিসি (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, আরডিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, নেসাকোর প্রধান প্রকৌশলী হাসিনা দিলরুবা, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মুহম্মাদ আলী, এলজিইডি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী আবু বকর সিদ্দিক, পিডব্লিউডি রাজশাহী ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সানিউল হক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরসহ সংশ্লিষ্ট অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।


Exit mobile version