রাজশাহী সাইন্স ল্যবরেটরির পরিচালককে রাবি কর্মচারীর হুমকি


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিমকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেন্ডার পেতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এস্টেট দপ্তরের কর্মচারী আনোয়ার হুমকি দেন বলে উপাচার্যের কাছে ওই পরিচালক লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত কর্মচারী মো. আনোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট দফতরের উচ্চমান সহকারী ও মেসার্স এ.এস.এম ট্রেডার্স এর মালিক। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন রাজশাহী মেসার্স এ.এস.এম ট্রেডার্স এর নামে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী হিসাবে গবেষণাগারে ৮ সেপ্টেম্বর উলুখড় নিলামে দরপত্র প্রদান করেন। তবে নির্ধারিত ১১ শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি বাতিল বলে গণ্য হয়। এরপর থেকেই তার প্রতিষ্ঠানের নামে নিলাম পেতে রাজনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে ফোনে হুমকি প্রদান করে আসছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন আনোওয়ার। যদিও সরকারি চাকুরি বিধি ১৯৭৯ এর ১৭ ধারায় বলা আছে, কোন সরকারি কর্মকর্তা সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোন চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবে না।

বিসিএসআইআর পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিম বলেন, গবেষণাগারের নিলাম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম প্রকৌশল শাখা এবং নিলাম কমিটি নিয়মমত পরিচালনা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব বা অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। এরপরও ভয়ভীতি দেখিয়ে আনোয়ার টেন্ডার পেতে চায়। এরই প্রেক্ষিতে রাবি ভিসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এদিকে আনোয়ারের বিষয়ে তার এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি ক্রস ফায়ারে নিহত জাহাজঘাট এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলোর ভগিনা।জানতে চাইলে আনোয়ার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই। তবে প্রতিনিধির কাছে তার ট্রেড লাইসেন্স’র কপি হাতে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এমএবারী জানান, বিসিএসআইআর পরিচালককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি চাকরিতে থেকে ঠিকাদারী করার বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে অবগত করে ট্রেড লাইসেন্স নেয়নি। তথ্য ফাঁকি দিয়ে করতে পারে। এ বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ