Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহী অঞ্চলকে খরাপ্রবণ এলাকা ঘোষণার দাবি


প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

রাজশাহী অঞ্চলকে খরাপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। একইসঙ্গে পদ্মায় পানি সংকট নিরসনে উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প ও গঙ্গা ব্যারেজ বাস্তাবয়নেরও দাবি জানান তারা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবির কথা জানানো হয়।

এসময় রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে জানানো হয়, রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবী ভয়াল পদ্মার গ্রাস থেকে বাঁচার জন্য নদীতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করে নদী ভাঙ্গনের হাত হতে এই শহরকে রক্ষা করেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেশের ১৯টি নদী ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হলেও রাজশাহীর পদ্মা নদীটি অন্তর্ভূক্ত হয়নি।

নেতৃবৃন্দ  আরো বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি প্রবাহ গভীর নলকুপ দ্বারা অবাধ ব্যবহারের ফলে পানিতে আর্সেনিক দুষণ দেখা দিয়েছে। এলাকার মানুষ বহুবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ফসলেরও মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এখানে বর্ষা মৌসুমেও পানির স্তর বহু নিচে থাকে। ফলে এলাকায় গভীর নলকুপে পানির ব্যবহারের ফলে মরু প্রক্রিয়ার পথে যাচ্ছে। আর গ্রীষ্মে চরম খরার ধাবিত হচ্ছে। অতি দ্রুত এই এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং ভু-উপরিস্থ পানি ব্যবহার না করার ফলে এই এলাকা দ্রুত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

এমতাবস্থায়, জরুরী ভিত্তিতে এই অঞ্চলকে খরা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলেও দাবি তুলেছেন নেতৃবৃন্দ। তারা উল্লেখ করেন বর্তমানে সময়ে রাজশাহীর উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ প্রবাহিত হচ্ছে এটি খরা প্রবন এলাকার স্পষ্ট লক্ষন। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে রাজশাহী অঞ্চলেই। বক্তারা বলেন, পদ্মায় পানি প্রবাহের সংকটের কারনে রাজশাহী অঞ্চলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

এসময় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের গবেষণামুলক বিভিন্ন কাগজপত্র জেলা প্রশাসক এসএম কাদেরের হাতে তুলে দেন নেতৃবৃন্দ। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মো, আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান, হারুনার রশিদ, এডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, নারী নেত্রী সেলিনা বেগম, ছাত্রনেতা কেএম জোবায়েদ হোসেন জেতু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


Exit mobile version