রাজশাহী কলেজে জেলহত্যা দিবস পালিত


মেহেদী হাসান,

বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী কলেজে জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রোববার কলেজে র‌্যালি, আলোচনা সভা, পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ প্রশাসন ভবনের সামনে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে জেল হত্যা দিবসের শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। পরে কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভা শেষে বাদ জোহর কলেজ মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তিন নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূণ্য করতেই এই বর্বর হত্যা চালানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুসহ শহীদ জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রফেসর মো. আনিসুজ্জামান মানিক।

জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকার আলবদরসহ অনেকে হত্যা করতে চেয়েছিল বাঙালি জাতির অহংকারকে। পরে তারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করে। তারা মনে মনে ভেবেছিল, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করলে বাঙালি জাতি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু বাঙালি জাতি তা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আলোচনায় কলেজের বিভিন্ন বিভাগ ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর পীযূষ কান্তি ফৌজদার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান প্রফেসর জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রধান ড. নাজনীন সুলতানা, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রধান প্রফেসর নার্গিস আক্তার জাহান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজশাহী কলেজ ইতিহাস বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর তানভিরুল আলমসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ