‘রাজশাহী চিড়িয়াখানায় হরিণ হত্যায় পাঁচ ক্ষুধার্ত কুকুর দায়ী’


বিশেষ প্রতিবেদক : 

রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার খাঁচার ভেতরে মাসহ চার হরিণশাবককে হত্যার ঘটনায় ৫টি ক্ষুধার্ত কুকুরকে দায়ী করা হয়েছে। এসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে প্রাণিদের সুরক্ষায় আরো তিনজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সুপারিশ করেছেন চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ও ভেটেরিনারি সার্জন। শনিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন তারা সিটি কর্পোরেশনের সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন।

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় কুকুরদলের হানায় মৃত মাসহ শাবক হরিণ

চিড়িয়াখানার তত্ত্বাধায়ক মাহবুুর রহমান ও ভেটেরিনারি সার্জন ড. ফরহাদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার রাতে চিড়িয়াখানায় হরিণের খাঁচার বাউন্ডারী প্রাচীরের একপার্শে মাটি খুড়ে গর্ত করে ৫টি কুকুর ঢুকে পড়ে ৩টি হরিণের বাচ্চা ও ১টি মা হরিণ মেরে ফেলে। চিড়িয়াখানার আশেপাশের কুকুরগুলাে কয়েকদিন ধরে কোনাে খাবার না পেয়ে বেশ আক্রমণাত্বক ও হিংস্র হয়ে উঠেছে । তারা হরিণগুলােকে মেরে মাংস খেয়ে নেয় ।

পরদিন সকালে চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা হরিণের খাঁচা গেলে তা দেখতে পায় এবং কুকুরগুলােকে মেরে তাড়িয়ে দেয় । চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে বর্তমানে রাত্রিকালীন ৩ জন নাইটগার্ড দায়িত্ব পালন করে । কিন্তু তারা বিষয়টি টের পায়নি । পরে শনিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সচিব  সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এরপর ভেটেরিনারি সার্জনকে দেখিয়ে মৃত হরিণগুলােকে  মাটি চাপা দেয়া হয়। চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৭১টি হরিণ রয়েছে ।

ওই প্রতিবেদনে  দুটি সুপারিশ করেছেন তারা। এগুলো হলো- চিড়িয়াখানায়  বর্তমানে মাত্র৩ জন নাইটগার্ড আছে। একেবারেই অপ্রতুল । তাই অতিরিক্ত আরাে ৩ জন নাইটগার্ড প্রয়োজন । এছাড়া হরিণের খাঁচার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার কাজ দ্রুত শেষ করারও তাগিদ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে দুপুরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর পাল ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে বলেন, প্রতিবেদনটি দাপ্তরিকভাবে ওঠার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। ওই কমিটির প্রতিদেবন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হমিদুল হক বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়েছে কুকুর ও বিড়ালের মতো প্রাণিগুলো। কারণ, তারা বেশির ভাগক্ষেত্রেই মানুষের দেয়া খাবারের ওপরই নির্ভরশীল।তবে সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে নগরীতে এসব প্রাণির খাদ্যের সংস্থানে উদ্যোগ নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ