Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি কর্মচারিদের


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলমের বিরুদ্ধে এবার অধিনস্ত কর্মীচারীদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রেক্ষিতে অধিনস্ত কমচারিরা নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শণ ও অপসারন দাবি করেছেন। এ নিয়ে পাউবো রাজশাহীর পওর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছেও অভিযোগ করেছেন কর্মচারিরা।


রবিবার দাখিল করা এ অভিযোগের অনুলিপি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরেও পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী পাউবোতে কর্মরত ৪৫ কর্মচারি সাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনূর আলম অফিসে বহিরাগতদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরী করেছেন। কাউকে কোনো কোয়াক্কা করেন না। অধিনস্ত কর্মচারিরা সারাক্ষণ তার হমকি-ধামকির মুখে তটস্ত হয়ে থাকেন। যখন-তখন কর্মচারিদের ওপর মারমুখি আচরন করেন। অকথ্য গালিগালাজ করে চরম হয়রানী ও কথায় কথায় চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন।

কর্মচারিরা অভিযোগে উল্লেখ করেন, সর্বশেষ গত ১ জুলাই, তার দফতরেই কর্মরত উচ্চমান সহকারী মমতাজ উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। মমতাজ উদ্দিনকে ফোনে গালিগালাজের রেকর্ড করা অডিওতে শোনা যায় অশ্রাব্য সব ভাষার প্রয়োগ।

মমতাজ উদ্দিন জানান, গত ১ জুলাই তিনি বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলীর জন্য অপেক্ষ করছিলেন। দুপুর ১২ টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাদকতা থাকলেও কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড পাওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সময়মত অফিসে না আসায় মমতাজ উদ্দিন তাকে মোবাইলে ফোন করলেই অপর প্রান্ত থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।

এ অবস্থায় মমতাজ উদ্দিন অডিও রেকর্ডসহ পাউবো শ্রমিক কর্মচারি লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকতে অবহিত করেন। পরে শ্রমিক কর্মচারি লীগের ব্যানারে ওইদিনই প্রতিবাদ সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি করেন। পরে সবাই নির্বাহী প্রকৌশলীর দপতরে হাজির হলেও তিনি কোনো কথা শুনতে রাজি হননি। বাধ্য হয়ে তারা প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।

এদিকে কর্মচারিরা সম্মলিতভাবে অপসারণ দাবি করায় নির্বাহী প্রকৌশরী কোহিনুর আলম বহিরাগতদের ডেকে নিয়ে এসে তাদের হুমকি প্রদর্শণ করায়। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ব্যাপার নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলমের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি এসব অভ্যান্তরিণ বিষয় উল্লেখ করে ফোন কেটে দেন। তবে পাউবো রাজশাহী পওর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কর্মচারিদের একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপট নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও করা হয়। এছাড়া নানা অনিয়মের প্রেক্ষিতে তাকে রাজশাহী থেকে গত জানুয়ারিতে বদলীর আদেশ হলেও পরে তদবির করে সে আদেশ ঠেকিয়ে রাজশাহীতেই থেকে যান।#


Exit mobile version