রাজশাহী পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি। গেল তিন দিনে অন্তত ৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।  শনিবার সকালে পানি কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটারে।পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আর পানি বাড়ার আশঙ্কা নেই।

এর আগে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আগে থেকেই হু হু করে পানি বেড়ে চলেছিল পদ্মায়। এরই মাঝে নতুন করে ফারাক্কার সবগুলো লকগেট খুলে দেওয়ায় পানিতে থৈ থৈ করছে এ নদী। পানির তোড়ে বর্তমানে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। সেই স্রোত আছড়ে পড়ছে শহর রক্ষা বাঁধে। এতে করে হুমকিতে পড়েছে টি-বাঁধসহ সংলগ্ন এলাকা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুধবার সকাল থেকে বাঁধ ঘিরে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার সকালে বিপদসীমার মাত্র ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল রাজশাহীর পদ্মা। এদিন বেলা ৩টায় রাজশাহী পয়েন্টে পানির উচ্চতা মাপা হয় ১৮ দশমিক ১৮ মিটার। অন্যদিকে নির্ধারিত বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। এরই মাঝে পাবনার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক জানান,  গত ১৭ বছরে রাজশাহীতে পদ্মার পানি মাত্র দুইবার বিপদসীমা (১৮.৫০) অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা ৮ বছর রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। কেবলমাত্র ২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পদ্মার সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ মিটার। এছাড়া আরেকবার ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মার উচ্চতা দাঁড়িয়েছিল ১৮ দশমিক ৭০ মিটারে। এরপর পানি বাড়লেও ওইসব রেকর্ড ভাঙেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, নদীর প্রবল স্রোতে কয়েক যুগ আগের টি-বাঁধটি কিছুটা দেবে গেছে। তাই বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে তা রক্ষার চেষ্টা চলছে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট এ বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কমকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জিও ব্যাগ ফেলে সে ফাটল ঠেকান। তবে বন্যার আশঙ্কা নেই।


শর্টলিংকঃ