Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহীতে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালিত


নিজস্ব প্রতিনিধি :

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবির উপাচার্য বলেন, সমগ্র জাতীর মুক্তির স্বপ্নকে নিজের মধ্যে ধারণ করে যে মানুষটি আমাদেরকে মুক্তির স্বাদ পাইয়ে ছিলেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি চাইলেই পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে তাঁর ও তাঁর পরিবারের উজ্জল ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করতে পারতেন। তবে তিনি তা না করে, পক্ষ নিয়েছিলেন এদেশের নিপিড়িত মানুষের।

উপাচার্য আরো বলেন, স্বাধীনাতর আনন্দ ক্ষণিকের তবে পরাজয়ের গ্নানী চিরকালের। আর ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের দোশররা পরাজিত হয়ে এদেশের মাটিতে তাদের চক্রান্ত অব্যাহত রাখে। আর এরই ধারাবাহিকতায় পরাজিত পক্ষের দোশররা ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে।

এসময় উপাচার্য জানান, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নাম বা স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে ও স্বাধীনাতয় তাঁর ভূমিকা নিয়ে যে কোন প্রকার প্রচার নিষিদ্ধ করে রাখা হয়। এমনকি স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে যে হত্যা করা হয়েছিল তার বিচার যাতে না করা হয়, সেজন্য সংসদে কালো আইন পাশ করা হয়। তবে ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। চক্রান্তকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেও, তার আদর্শকে কোন দিন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু এদেশের কোটি প্রাণের স্পন্দন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর বৈসম্যহীন সমাজ গড়তে বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ৭১ এর পর বাংলাদেশ রাজনৈতিক ভাবে স্বাধীন একটি দেশ, এখন শুধু অপেক্ষা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীনতার। এদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী স্বপ্ন ছিলো এটি। আর তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অর্থাৎ বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আমাদের গৌরবময় সঠিক ইতিহাস জানান দিয়ে তাদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার একে মিশ্রা, রাবি’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো: জাকারিয়া।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


Exit mobile version