রাজশাহী বিসিএসআইআর’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নাফিস


নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) রাজশাহী কার্যালয়ে ‘শুদ্ধাচার’ চর্চার জন্য শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন মো. নাফিস হাসান। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে এ শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচন করা হয়ে থাকে। কর্মকর্তা নাফিস হাসানের সাথে আব্দুস সালাম নামে একজন কর্মচারীও এবছর শুদ্ধাচার চর্চায় পুরস্কার অর্জন করেন। গত ৪ জুন রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ড. মো. ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজশাহী বিসিএসআইআর’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নাফিস
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিসিএসআইআর গবেষণাগারে শুদ্ধাচার চর্চার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৭ সালে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ গঠন করে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশ ও পরিচালকের মূল্যায়নের পর এবছর দুইজনকে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের পুরস্কার হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।

রাজশাহী বিসিএসআইআর’র পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ড. মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রত্যেক বছর আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়ন করে শুদ্ধাচার চর্চায় পুরস্কার দিয়ে থাকি। এ সংক্রান্ত কমিটি যাচাই-বাছাই করে ২০টি পয়েন্ট ধরে মার্কিং করে থাকেন। সেটা তারা পরিচালকের কাছে জমা দেন। তাদের মূল্যায়ন পরিচালকও যাচাই করে চূড়ান্তভাবে শুদ্ধাচার চর্চায় শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করা হয়।’

নাফিস হাসান রাজশাহী বিসিএসআইআর-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাবা মো. নাজিম উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সরকারের উপ-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে যান। নাফিসের মা রওনক বেগম জনতা ব্যাংকের প্রথম ‘এজিএম’ ছিলেন।

নাফিস হাসান বলেন, ‘বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারে যোগদান করার পর থেকে নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানের যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়াটা গৌরবের। আমিও এ পুরস্কার অর্জন করায় গর্ববোধ করছি। এই অর্জন আগামি দিনে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করতে আমাকে আরও উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা যোগাবে।’


শর্টলিংকঃ