রাজশাহীর কলেজছাত্র রাব্বি হত্যাকাণ্ড নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজশাহী নগরীর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায় কলেজছাত্র ফারদিন ইসমা আশারিয়া রাব্বি হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের ছোটবোন মানসুরা পারভিন বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এতে নির্দিষ্ট করে কোনো আসামীর নাম নেই। 

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান,  রাব্বি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। রাব্বি টার্গেট কিলিংয়ের শিকার কি না-সেটিই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।  তিনি বলেন,  হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায় একটি পরিবারকে ঘিরে শক্তিশালী ছিনতাইকারী গ্রুপ আছে। তারা বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই করে।  ছিনতাইয়ের অভিযোগে এই গ্রুপের এক যুবককে কয়েকদিন আগে গ্রেফতারও করেছে মতিহার থানা পুলিশ। এই গ্রুপের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুছ ইউনিভার্সাল২৪ নিউজকে  বলেন,  সম্ভাব্য সকল কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার পর রাব্বির ট্রাভেল ব্যাগ, মানিব্যাগ এমন কি মোবাইল ফোনটিও ঘটনাস্থলেই পড়েছিল।  পুলিশ সেগুলো জব্দ করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয় নি। তবে  আশা করা হচ্ছে, খুব কম সময়ের মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে।

মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদের উত্তরে সড়কের ওপর কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজের ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষের ছাত্র ফারদিন ইসমা আশারিয়া রাব্বিকে। সে ভোরে ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার জন্য স্টেশনে যাচ্ছিল। রাব্বির বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার মোমিনপুর গ্রামে।


শর্টলিংকঃ