রাজস্ব বৃদ্ধির ২০টি নতুন উৎস চিহ্নিত করে ছায়া বাজেট ঘোষণা


নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোনো বৈদেশিক ঋণ ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ১২লাখ ৪০হাজার ৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।  আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি চাইনিজ রেস্টেুরেন্টে  আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বাজেট পেশ করা হয়।

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০লাখ ২০হাজার ৫১০কোটি টাকা, যা মোট বাজেট বরাদ্দের ৮১শতাংশ। আর বাকি ১৯শতাংশ ঘাটতির অর্থায়নে যোগান দেবে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশিদারিত্ব।

অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০টি নতুন উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে।এরমধ্যে রয়েছে-বিদেশী নাগরিকদের ওপর কর, সেবা থেকে প্রাপ্ত কর, সম্পদ কর, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ কর। এছাড়া  এই প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ও শিক্ষাখাতের বিশেষ বরাদ্দে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির রাজশাহী শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, সরকার ধনীদের তুলনায় গরীব শ্রেনীর ওপর পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে রেখেছে। এই বৈষম্য কমাতে হবে। করদাতা সংখ্যার বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তারা বলেন, দেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত দুই কোটি কর দেয়ার যোগ্য্য। কিন্তু কর দেন মাত্র ২২লাখ। এ অবস্থা উত্তরণে সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়া আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  আঅসন্ন বাজেটে  সরকারের আয়ের উৎস নিয়ে প্রস্তাব হলো-অর্থপাচার রোধ থেকে ৩৫হাজার কোটি টাকা এবং কালো টাকা উদ্ধার থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা আহরণ করতে হবে।

শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাতে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের বরাদ্দ ছিল ৬৭হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা।  কিন্তু এখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনীতি সমিতি আসন্ন বাজেটে তা  দুই লাখ ৮৪হাজার ৫০০কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতেও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার চার গুণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ৫ দশমিক ৬৪গুণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু নোমান ও  রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান।


শর্টলিংকঃ