রাণীনগরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চায়না-৩ লেবু


রাজেকুল ইসলাম, (রাণীনগর) নওগাঁ :

নওগাঁর রাণীনগরের কৃষকরা এখন ফসল চাষের ধরণ পাল্টে ফেলছে। একটি ফসল বারবার চাষ করে খুব একটা ভাল ফলাফল না পাওয়ায় কারণেই এমনটি করছেন। প্রথম দিকে পরীক্ষামূলক লেবু চাষ হলেও বর্তমানে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উপজেলায় প্রায় ১৭হেক্টর জমিতে চায়না-৩ জাতসহ বিভিন্ন জাতের লেবু চাষ করা হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে লেবুর চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে যাওয়াতে অনেকেই অধিক ফলনশীল লেবু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ রসালো লেবুর চাষ করে উপজেলার লেবু চাষীরা বর্তমানে অনেক লাভবান হচ্ছেন। অধিক ফলন পাওয়ায় উপায় হিসেবে লেবু চাষীরা বর্তমানে চায়না-৩ জাতের চারা রোপন করছে। চায়না-৩ জাতের লেবুর গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি, খরচ অনেক কম, বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয় কম, পরিপক্ক লেবুতে অনেক রস পাওয়া যায় এবং কম সময়ের মধ্যে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।

কুজাইল গ্রামের লেবু চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, জানান, দুই বছর ধরে শাকসবজির পাশাপাশি কিছুটা লেবু চাষ করতাম। তাতে লাভবান হওয়ায় গত বছর চকমুনু মৌজায় ৬বিঘা জমি লীজ নিয়ে লেবুর চাষ শুরু করেছি। বাজারে লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিদিন আমার জমি থেকে প্রায় ৩হাজার পিচ লেবু তুলে খুরচা ও পাইকারি দরে বিক্রি করছি। এতে আমার অন্যান্য ফসলের তুলনায় লেবু বিক্রি করে অধিক লাভবান হয়েছি। এখন পর্যন্ত বাগানে যে পরিমাণ ফল আছে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার পিচ লেবু বিক্রি করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলছেন, রফিকুল ইসলামের লেবুর বাগান দেখলে মন জুড়ে যায়। ফলন ভালো হওয়ার কারণে সে চলতি মৌসুমে লেবু বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়েছেন। তার লেবু চাষ দেখে প্রতিবেশিরাও লেবু চাষের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই অন্যান্য চাষীদের প্রতি পরামর্শ এই যে অন্য ফসলের পাশাপাশি লেবুও চাষ করতে পারেন।


শর্টলিংকঃ