রাণীনগরে মুক্তিযোদ্ধা ব্রীজের বেহাল অবস্থা


রাজেকুল ইসলাম, রাণীনগর(নওগাঁ):

অত্যন্ত নিম্নমান ও জোড়াতালি দিয়ে নির্মাণ কাজ করার কারণেই ২ বছর পার না হতেই নওগাঁর রাণীনগরের বেতগাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ব্রীজ দুই পাশের সংযোগ সড়কের ব্লক সরে যাওয়ায় মাটি ধ্বসে পড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অতিগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি বেশকিছুদিন ধরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়লেও রাণীনগর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঘুম ভাঙ্গছে না।

 

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা, ছোট যমুনা নদীর উপর বেতগাড়ী বাজারে ১৯৫ মিটার দীর্ঘ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত ২০১৫ সালে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এই জনগুরুত্বপূর্ন ব্রীজটি উদ্বোধনের মাধ্যমে তা জনসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং রাণীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের সেতু বন্ধনের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের অর্থনীতির মুক্তির নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হয়।

কিন্তু ব্রীজটি উদ্ধোধনের ১বছর পার না হতেই সংযোগ সড়কের দুই পাশের ব্লক ও ইট সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো পর্যন্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে রাতের আঁধারে চলাচলের সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। স্থানীয়দের দাবী দুই পাশের সংযোগ সড়কের ও ব্লক স্থাপনের কাজ খুবই নিম্ন মানের হওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বেহাল দশার সংস্কার কাজের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন ব্রীজটি ছিলো উপজেলার পশ্চিমা এলাকা মিরাট ইউনিয়ন ও গোনা ইউনিয়নের সেতুবন্ধন। কিন্তু ব্রীজটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ও ব্লক বসানোর কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় আজ এই বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। অতিদ্রুত এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের পর সংস্কার কাজের জন্য যে জামানত ছিলো তা সময় পার হওয়ার কারণে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ব্রীজটি পরিদর্শন করে তা সংস্কার কাজের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন প্রেরণ করবো।


শর্টলিংকঃ