ইউএনভি ডেস্ক:
রাত ১১টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এদিনে দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান, তাদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হয়নি, এটি পেতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আজ (৩০ মে) কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকার প্রথম চালান আসার কথা ছিল। কিন্তু এখনও আমরা তার ফ্লাইট শিডিউল পাইনি। কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের ভ্যাকসিন আজ বাংলাদেশ পাচ্ছে না। কিছুটা দেরি হতে পারে। ফাইজারের টিকা আসতে অন্তত ১০ থেকে ১২ দিন সময় লেগে যেতে পারে।
তবে এর কিছু সময় পর তিনি জানান, ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা আসছে নির্ধারিত সময়েই। অর্থাৎ রোবাবার (৩০ মে) রাতে। এ বিষয়ে গণ্যমাধ্যমে সংশোধনীও পাঠানো হবে বলে জানান।
এরও আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, ফাইজারের টিকা বাংলাদেশে ৩০ মে রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছাবে। তবে কবে নাগাদ এবং কারা এই টিকার আওতায় আসবেন সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। টিকাদান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ডোজ। একই প্রতিষ্ঠানে তৈরি একই টিকার আরো ৩২ লাখ ডোজ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া গেছে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দেশে গতকাল শনিবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ (অক্সফোর্ডের) দেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনকে। একই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৪২ হাজার ২৫৫ জন। এছাড়া গতকাল পর্যন্ত চীনের সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক হাজার ২৩৯ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৯ ডোজ। এখন টিকা হাতে আছে অক্সফোর্ড ও সিনোফার্মেরসহ মোট সাত লাখ ৩৫ হাজার ডোজের মতো।