রাতে পরিপূর্ণ ঘুম না হওয়ার কারণ ও এর সমাধান


জীবনযাপন ডেস্ক :

আমরা ঘুমের আগে এমন কিছু কাজ করে থাকি যা, আমাদের ঘুম নষ্ট করছে। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘুম নষ্ট হওয়ার কারণ গুলো-

ফোনে কথা বলা : অনেকে মনে করতে পারেন ঘুমের সাথে কথা বলার সম্পর্ক কি হতে পারে। কিন্তু যারা ফোনে বেশি কথা বলেন বিশেষ করে রাতের দিকে তারা সব চাইতে বেশী অনিদ্রা রোগে ভোগেন। কথা বলার সময় আমাদের দেহের এনার্জির মাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া ফোনের রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। এতে করে রাতে ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক কথা বলার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং ফোন রাখার পরও মস্তিষ্ক সজাগ থাকে বলে ঘুম আসতে চায় না।

রাত জেগে কাজ করা : অনেকের রাতের বেলা জেগে কাজ করার বদ অভ্যাস রয়েছে। এই কাজটি ঘুম না আসার জন্য দায়ী একটি কাজ। রাত জেগে কাজ করার ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে অনেকক্ষণ।

রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখা : অনেকেই রাতের বেলা শোবার সময় টিভি ছেড়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে। এই কাজটিও ঘুম না আসার জন্য দায়ী। টিভি দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভে চাপ পরে যা অনিদ্রার জন্য দায়ী।

রাতের বেলা ব্যায়াম করা : অনেকেই কাজের চাপে সময় না পেলে দেহকে সুস্থ রাখার জন্য রাতের বেলা সময় বের করে ব্যায়াম করেন। কিন্তু এই কাজটি দেহকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে অসুস্থ করে তোলে। রাতের বেলা ব্যায়াম করলে ঘুম হয় না এবং ঘুম না হলে দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। ঘুম হওয়ার জন্য আমাদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় কম হওয়া প্রয়োজন।

মধ্যরাতের অস্বাস্থ্যকর খাবার : যারা রাত জেগে কাজ করেন তাদের রাতের বেলা কিছু না কিছু খাবার অভ্যাস তৈরি হয়। এবং মধ্যরাতের এই খাবারগুলো বরাবরই বেশ অস্বাস্থ্যকর হয়। সুতরাং মধ্যরাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করুন।

সমস্যার সমাধাণ

ফোন অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন

রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে থেকে যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কাছ থেকে ছুটি নিন। মনে রাখা দরকার, স্ক্রিনের আলো আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চা কফি সিগারেট

চা কফি সিগারেট তিনটিই অনেকের নেশা। এগুলো আমাদের ঘুমের জন্য বেশ ক্ষতিকর। যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তখন ঘুমানোর ৪/৫ ঘণ্টা আগেই চা-সিগারেট পর্ব সেরে ফেলতে হবে।

রুমে আলো আসতে দিন

ভালো ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকারি একটি বিষয়। ঘুমানোর সময় যেন শরীরে আলো বাতাস লাগে সেজন্য রুমের দরজা জানালা খোলা রাখা যেতে পারে।

রাতে কম খান

অনেকেরই রাতের বেলা বিরাট ভোজের অভ্যাস থাকে। হজমের পাশাপাশি ঘুমের জন্যও রাতে বেশি খাওয়া ক্ষতিকর।

গরম পানি দিয়ে গোসল সেরে নিন

ঘুমের আগে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন সহজ হয়ে যাবে। ফলে আরামদায়ক ঘুমের সম্ভাবনাও বাড়বে।

ঘুমের নির্দিষ্ট সময়সূচী নির্বাচন করুন


শর্টলিংকঃ