রাবিতে ‘জয়পুরহাট ডিস্ট্রিক স্টুডেন্ট ডে’ অনুষ্ঠিত


রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যয়ন শিক্ষার্থীদের সংগঠন জয়পুরহাট জেলা সমিতির আয়োজনে জয়পুরহাট ডিস্ট্রিক স্টুডেন্ট ডে-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক (টিএসসিসি) কেন্দ্রে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ‘আধুনিক ও সুশিক্ষিত জয়পুরহাট বিনির্মাণে এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে’ এই প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, বিদায়ী ও কৃতি শিক্ষর্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জয়পুরহাট জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ মিশুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, আর.এম.পি এর অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ইকরামুল হক পিপিএম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এহসান মাহফুজ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, আজকের তরুণরা যে স্বপ্ন দেখবে তা আর কেউ দেখতে পারবে না। এখন তোমরা তরুণ, তোমাদেরকে আগামী দিনে এ দেশ পরিচালনা করতে হবে। প্রতিটি সেক্টরে তোমাদেরকে নেতৃত্ব দিতে হবে। সেই নেতৃত্ব যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনকের আদর্শ অনুযায়ি হয়। বাংলাদেশ একটি অনন্য জাতি। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বপ্ন দেখাননি বরং তিনি দেশের মানুষের মধ্যে স্বপ্নকে সঞ্চারিত করেছেন। তিনি সকল মানুষের ভাষা বুঝতেন যার মাধ্যমে তিনি সকলকে একত্রিত করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।

সমিতির সহ-সভাপতি ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এহসান মাহফুজ বলেন, জয়পুরহাটে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় এগিয়ে আসতে হবে। এলাকার শিক্ষাকার্যক্রম উন্নত করার জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করতে হবে। তাই জয়পুরহাটের জনপ্রতিনিধি সহ সকল স্তরের মানুষদের প্রতি অনুরোধ অদম্য মেধাবীদের জন্য ফান্ড গঠন করে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা।

এর আগে টিএসসিসি এর সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। এসময় জয়পুরহাট জেলা সমিতির প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষার্থীর জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা এবং মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়।


শর্টলিংকঃ