রাবিতে তিন দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদশর্নী শুরু


রাবি প্রতিনিধি:

বরেন্দ্র এলাকার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তিন দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদশর্নী শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এই প্রদশর্নীর উদ্বোধন করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিন্ধার্থ তালুকদার।

বরেন্দ্র আর্ট সোসাইটি তৃতীয়বারের মতো এই শিল্পকর্ম প্রদশর্নীর আয়োজন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, শিল্প কর্ম ভিত্তিক সংগঠন শিল্পাশ্রমের পরিচালক আশফাকুল আশেকিন, সংগঠনটির আহ্বায়ক তারিক হাসান প্রমুখ।

আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবারের প্রদশর্নীতে সংগঠনের ১৫জন শিল্পীর আঁকা ৬০টি প্রদশর্নী স্থান পেয়েছে।

এতে চারুকলা অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম রয়েছে।

তিন দিনব্যাপী এই প্রদশর্নী প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।

আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) এই প্রদশর্নী শেষ হবে।

 

ভিন্নধর্মী প্রদশর্নীর আয়োজন করার কারণ জানতে চাইলে সংগঠনটির সদস্য মুসতাহিদা রেহমান কিরন বলেন, বরেন্দ্র এলাকার তালপাতার পুঁথি চিত্র কিংবা সোমপুর বিহারের পোড়ামাটির ফলক, এই অঞ্চলের শিল্পচ্ছারাই ইতিহাস বহন করে।

আর এই অঞ্চলের ইতিহাস ধরে রাখতে আমাদের কাজ করতে হবে। কেননা আমরা এই অঞ্চলের উত্তরসূরী।

আমাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, জীবন-যাপন, রাজনীতি ফুটে উঠবে। তাই আমাদের এই আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, শিল্পকর্মে বিশেষ করে জায়গা পেয়েছে দৈনন্দিন জীবনের ক্রিয়াকর্ম। কখনো বা শিল্পী বাংলাদেশের রাজনীতির ঘটনা প্রবাহকে শিল্পকর্মে রূপ দিয়েছেন।

প্রদর্শিত প্রতিটি শিল্পকর্মে রং, রেখা, ফর্ম ও টেকচারের সংমিশ্রণ রয়েছে। আমরা প্রকৃতির অংশ তাই প্রকতি থেকেই শিল্পের বিষয় ও ভাবনা করা হয়েছে।

প্রদশর্নী ঘুরে দেখা যায়, শিল্পকর্মগুলো অধিকাংশই ল্যান্ডেস্কেপধর্মী, যেখানে প্রকৃতির বাস্তবতা, কোমলতা এবং রুক্ষতা ফুটে উঠেছে। এছাড়াও প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলো জল রং, তেল রং, এ্যাক্রেলিক, পেন্সিল ও চারকোল মাধ্যমে আঁকা।

তাছাড়া কাঠখোদাই, ড্রাইপয়েন্ট এবং এচিং পদ্ধতি অনুসরণে সৃষ্ট বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রদশর্নীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ