রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন কমানোসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানায়।
তাদের দাবিগুলো হলো- আবেদন ফি ৫০০ টাকায় সীমাবদ্ধ রাখা, একাধিক ইউনিটে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া, ইউনিট প্রতি ৩২,০০০ সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল এবং নতুন বিভাগ খোলা।
এ সময় বক্তারা বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবেদনের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। যার ফলে অনেক ভর্তিচ্ছু আবেদন করতে পারবে না। আমরা চাই ভর্তি ফি কমিয়ে পাঁচ’শ টাকায় নিয়ে আসা হোক। এছাড়া প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে একজন শিক্ষার্থী মাত্র একটি ইউনিটেই পরীক্ষা দিতে পারবে। যা খুবই অমানবিক। এর ফলে ভর্তিচ্ছুরা তাদের পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে পারবে না।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করার পায়তারা চালানো হচ্ছে। এখানে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে আমরা যেসব যৌক্তিক দাবি জানিয়েছি সেগুলোর বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষার্থী আরেফিন মেহেদী হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেহেদী হাসান, আইইআর বিভাগের খন্দকার নাসিম ও তানজিম প্রমুখ।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ভর্তি ফর্মের যে উচ্চমূল্য নির্ধারণের কথা বলা হচ্ছে তা অযৌক্তিক কেননা এবার কেবলমাত্র একটি ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েই বিভাগ পরির্তনের সুযোগ নিতে পারবে। এটা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ লাঘব করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভতিচ্ছুকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৫৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক আবেদনের পর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সুযোগপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছুদেরকে ফের ১ হাজার ৯৮০ টাকা দিয়ে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
