রাবিতে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের


রাবি প্রতিনিধি :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দলীয় টেন্ট পুুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য বরাবর দেওয়া স্মারকলিপি তারা এ দাবি জানান। উপাচার্যের পক্ষে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

রাবি উপাচার্যের পক্ষে ছাত্রদলের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রক্টর

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা ছাত্রসংগঠনগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। দীর্ঘদিন যাবত ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমান ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অযৌক্তিক।

রাকসু নির্বাচনের উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের আদর্শ বিস্তার না করতে পারে তবে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর যুক্তি দাবিগুলো প্রকাশ বিঘ্ন ঘটবে। রাকসু নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে দ্রুত রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ছাত্রসংগঠগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিতে লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের দলীয় টেন্ট পুনঃনির্মানের দাবি জানানো হয়।

রাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ মামুন বলেন, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারনে আমরা কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরী সানিন, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান, শাখা ছাত্রদলের সদস্য তুষার শেখ, জহিরুল ইসলাম, আব্দুল লতিব, ফারুক হোসেন প্রমুখ।

জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্রদলের নেতারাকর্মীরা দলীয় টেন্ট নির্মাণের অনুমতি চেয়েছে এবং রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। আজ নির্বাচনের কারণে সবাই খুব ব্যস্ত, আমি পরে বিষয়টি উপ-উপাচার্য মহোদায়কে জানাবো।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি যেমন মিটিং, মিছিল, সভা-সমাবেশ, মাইকিং, ব্যানার ও পোস্টারিং এর  ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।


শর্টলিংকঃ