রাবিতে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত হাসানের


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

মেধা থাকলেও নেই অর্থ আটকে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি। হতাশা আর চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে মেধাবী ছাত্র আবু হাসানকে। পড়তে চায়, চায় মানুষের মতো মানুষ অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে। চায় মানুষজনের সেবা করতে। কিন্তু অভাব টেনে ধরেছে পিতার আদর থেকে বঞ্চিত এই মেধাবীকে।

পারবে কি কারো সহায়তা, পারবে কি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী আবু হাসান। চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ঠগের হাট ফৈলামারী গ্রামের হোসেন আলীর কন্যা মোছাঃ হাসনা বেগমের বিয়ে হয় উলিপুর উপজেলায় চাঁদ মিয়ার সঙ্গে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আবু হাসানের জন্মের পর পরই তার মাকে ছেড়ে দেয় তার বাবা।

ছোট্ট ছেলে আবু হাসানকে নিয়ে মা হাছনা বেগম চলে আসেন নানার বাড়িতে। সেই থেকে হাসনা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে অনেক কষ্টে আবু হাসানকে লালন-পালন করে। কিন্তু আর্থিক সংকটে তার লেখাপড়া চালানো খুব জটিল হয়ে পড়ে। তখন তার মা চলে যায় ঢাকায়।
ঢাকায় অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে যে সামান্য আয় হয় তা দিয়েই চলে ছেলে আবু হাসানের লেখাপড়া। আবু হাসান কনান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উলিপুর এমএস কলেজে ভর্তি হয়। অর্থকষ্টে এইচএসসি পাস করেন সে।

অদম্য মেধাবী এই শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ‘বি’ ইউনিটে ৪২তম অবস্থানে থেকেও ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আবু হাসানের মাও হতাশায় ভুগছেন আর বলছেন ছেলেকে কি পারবো মানুষ করতে। এমতাবস্থায় মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে তার ভর্তি নিশ্চিত হতে পারে। পেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ। যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৮০-৭১১৬৫৬ এই নম্বরে।


শর্টলিংকঃ