Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাবির প্রধান ফটক ও কাজলায় ফুটওভার ব্রিজ চান শিক্ষার্থীরা


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটক ও কাজলা ফটকে রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ঢাকায় বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনের কাছে এ দাবি জানান তারা।

রাবির কাজলা ফটক। ছবিতে ফাঁকা, সুনসান দেখা গেলেও সারাদিনই ব্যস্ত সড়কে পরিণত হয় এই এলাকা

জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

পরে কর্মসূচি শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে যায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ৮ দফা দাবি জানায়। এর মধ্যে অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও কাজলা ফটকে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ।

জানা গেছে, রাবির কাজলা গেইটে সবসময় ব্যস্ততা লেগে থাকে। সড়ক দিয়ে ভারী যানবহনের পাশাপাশি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফটক দিয়ে বের হতে বা ঢোকার সময় প্রায়ই ‍দুর্ঘটনার শিকার হন।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকেও বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলাচলের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রী বলেন, ছোট ছোট জিনিসপত্র কিনতে নিত্যদিন কাজলায় যেতেই হয়। কিন্তু গেটের সামনের সড়ক বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল করে। বিকেল হলে ভিড় আরও বেড়ে যায়। ওই সময় রাস্তা পারাপারে খুব সমস্যা হয়। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। ফুটওভার ব্রিজ হলে নিরাপদে চলাফেরা করা সম্ভব হবে।

সুমন আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, মেইন গেটের সামনে দুই পাশে স্পিড ব্রেকার থাকলেও অনেক সময় দেখা যায়, বাস ও ট্রাকসহ ভারী যানগুলো দ্রুত গতিতে যায়। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা আরও বেড়ে যায়। এখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ খুব জরুরি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। এটা তাদের যৌক্তিক দাবি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


Exit mobile version