Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রামেক হাসপাতালে করোনায় এক রাতে ৫জনের মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে একই রাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে তারা মারা যান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতরা হলেন- মহানগরীর শাহমখদুম থানার জিয়াপার্ক এলাকার সেলিম মৃধা (৫০) ও রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদা।

আর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতরা হলেন- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার এখলাসুর রহমান (৪০), মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফ আলীর স্ত্রী শামীমা বেগম (৪৮) এবং নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার মেরাজুল ইসলাম।

রামেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামীমা বেগম জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ২৯ নং করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান শাহমখদুম এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মৃধা। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

এরপর রাতে সোয়া ১২টার দিকে মারা যান রাকাবের প্রিন্সিপাল অফিসার এখলাসুর রহমান। তিনি উপসর্গ নিয়ে ২৯ নং করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তার দাফন করা হবে গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়।

এছাড়া রাত ১টা ৪০ মিনিটে ২৯ নং করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদার। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এছাড়া শুক্রবার ভোরের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯নম্বর ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গে মারা যান মেরাজুল নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায়।

মৃতদের মধ্যে শামীমা বেগম ও সেলিম মৃধাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহীতেই দাফন করবে। আর শিক্ষক মাহাবুবে খোদার দাফন করা হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায়। উপসর্গে মৃত ব্যাংক কর্মকর্তা এখলাসুর রহমানকে তার গ্রামের বাড়ি মাগুরায় দাফন করা হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১৪ জন।


Exit mobile version