Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রায়পুরে ছেলে হত্যাচেষ্টা, মা-ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ছেলেকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অটোচালকের নাম বাহার উদ্দিন (৩২)।এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বাহার উদ্দিন বাদী হয়ে তার মা, ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিসহ অজ্ঞাত ছয়জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক।

 

মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশের নির্জন সুপারি বাগান থেকে বাহারকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাহার উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে আসছেন। তার বাবা গত চার বছর অন্ধত্বসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী।

এতে সন্তুষ্ট হয়ে বাবা প্রায় তিন মাস আগে ৬ কড়া জমি বাহার উদ্দিনের নামে লিখে দেন।

এটা সহ্য করতে না পেরে শত্রুতা শুরু করেন মা, ছোট ভাই ও ভগ্নিপতি। সোমবার রাত ১১টায় অটোরিকশা চালানো শেষে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।

এ সময় স্ত্রী ও শিশুসন্তানের অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মা আমেনা বেগম, ছোট ভাই সবুজ ও ভগ্নিপতি রহিমসহ ৫-৬ জন অজ্ঞাত লোক বাহার উদ্দিনের ঘরে ঢুকে হাত-পা, মুখ বেঁধে তাদের বসতঘরের পাশে নির্জন সুপারি বাগানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে।

এ সময় বাহার উদ্দিনকে মৃত ভেবে তারা সুপারি বাগানে ফেলে চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসিম খানের ছোট ভাই আব্বাস তাদের সুপারি বাগানে শেওলা পরিষ্কার করতে গিয়ে হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় অচেতন বাহার উদ্দিনকে দেখে চিৎকার করে।

এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বাহার উদ্দিনকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।

মঙ্গলবার রাতে মা, ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিসহ অজ্ঞাত ছয়জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমেনা বেগম, ছোট ভাই সবুজ ও ভগ্নিপতি রহিম ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া জানান, কয়েকজন লোক বাহার উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় নিয়ে আসে। তাকে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


Exit mobile version