রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদের যত অপকীর্তি


ইউএনভি ডেস্ক:

বর্তমানে বহুল আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রতারক মো. সাহেদের প্রধান সহযোগী ও রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মামলার দ্বিতীয় আসামি মাসুদ পারভেজের গ্রেফতারের খবরে তার বাড়ি কাপাসিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। কাপাসিয়ার সব মহলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন তাকে নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।

জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজ কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হোমিও ডা. আবু হানিফ মোড়লের একমাত্র পুত্র। গ্রামের বাড়ি উপজেলা সদরের বরুন গ্রামে। কাপাসিয়ায় মাসুদ পারভেজের রয়েছে নানা অপকর্মেও চিত্র।

প্রভাবশালী নেতার পুত্র হওয়ার কারণে ও জনমনে ভয়ভীতি থাকার কারণে এতদিন কেউ বলার সাহস পায়নি। তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করেছেন কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি মেম্বার দুই সন্তানের জননী রওশনারা বীথিকে। পরে তথ্য গোপন করে বিয়ে করেন সহকর্মী এক ব্যাংকারকে। আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত হন।

চাকরির প্রলোভনে একাধিক লোকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে। তার বিয়ের সময় কাপাসিয়া বাজারের জুয়েলারি ব্যবসায়ী চন্দন রক্ষিতকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দিলে তা ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হয়। এ টাকা অনেক দেনদরবার করেও পাননি।

রাওনাট গ্রামের আলমগীর আকন্দ, আলতা মাসুদ, লাকি স্টোরের মালিক আল আমিন মোড়ল, আপন মামাতো ভাই আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকার মতো আত্মসাৎ করেছেন। এ সব অভিযোগের কারণে একপর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় বলে পরিবারের লোকেরা দাবি করেন।

উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের প্রধান সহযোগী ও রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের সালদৈ গ্রামে তার স্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে র‌্যাবের একটি টিম গ্রেফতার করে।

আরও পড়তে পারেন  রাজশাহী সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি


শর্টলিংকঃ