রুটির ভেতরে মেয়েকে চিঠি মেহবুবা মুফতির


ইউএনভি ডেস্ক:

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের দিন গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বন্দি রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার সঙ্গে মেয়ে ইলতিজা মুফতির যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার সমর্থিত স্থানীয় প্রশাসন।

রুটির ভেতরে মেয়েকে চিঠি মেহবুবা মুফতির

তবে মা-মেয়ের যোগাযোগ ব্যাহত হলেও থেমে থাকেনি। গৃহবন্দি মেহবুবা মেয়ের জন্য পাঠানো রুটির ভেতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। এভাবে পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন তারা।গ্রেপ্তারের পর থেকে মেহবুবার টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আসছেন ইলতিজা।

এক টুইটে তিনি জানান, কীভাব পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান অর্থাৎ তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। ইলতিজা বলেন, ‘আমি কখনই আমার মায়ের গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডের কথা ভুলতে পারব না। কারণ যখন আমার মাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন আমি খুব উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম এবং আমার সঙ্গে আমার মায়ের যে পত্র যোগাযোগ ছিল তা রুটির ভেতরে করে আনতে হতো।’

রুটির ভেতরে পাঠানো এক চিঠিতে মেহবুবা মুফতি (৬০) তার মেয়েকে লেখেন, ‘তারা (প্রশাসন) আমাকে বলে দিয়েছে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারব না। যদি কেউ আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তাহলে তাকেও কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।’ ইলতিজা মুফতি টুইটারে লেখেন, ‘এখন শুধু রুটির ভেতর চিঠির মাধ্যমেই আমার মায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগের পথ খোলা রইল।’

মেহবুবা মুফতিকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমে চশমাশাহী গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে গত বছর ডিসেম্বর তাকে শ্রীনগরের এমএ রোডে রাখা হয়। যখন তাকে সেখানে রাখা হলো তখন ওমর আব্দুল্লাহকে হারি নিওয়াস নামে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে রাখা হয়েছিল। ওমর আব্দুল্লাহর বাবা ফারুক আব্দুল্লাহকেও একই আইনে গত বছর সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।

মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ শতাধিক রাজনীতিককে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কারারুদ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার জননিরাপত্তা আইনে আরও তিন মাসের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার রায় দেওয়া হয়েছে। এ আইনে যেকোনো ব্যক্তিকে বিনা কারণে দুই বছর পর্যন্ত বন্দি রাখা যায়। সূত্র: রয়টার্স ও এনডিটিভি।


শর্টলিংকঃ