লিপুলেখ পাস এলাকায় চীনের সেনা মোতায়েন কিসের ইঙ্গিত?


ইউএনভি ডেস্ক:

লাদাখের পর এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে চীন। যদিও উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় চীন সীমান্ত বরাবর সতর্ক প্রহরা দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এছাড়া উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর প্রধানকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে লিপুলেখে এভাবে চীনের হঠাৎ সেনা বৃদ্ধি বেশ ইঙ্গিতবহ বলে মনে করা হচ্ছে।

লাদাখ সেক্টরের বাইরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনা সেনাদের চলাচল প্রত্যক্ষ করেছে এমন একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, চীন উত্তরাখণ্ডের লিপুলিখ পাসের কাছে পিপলস লিবারেশন আর্মি সেনাদের একটি শক্ত ব্যাটালিয়ন জড়ো করেছে।

পূর্ব লাদাখে মে মাসের শুরুতে ভারত ও চীন এক অচলাবস্থায় জড়িয়ে পড়েছিল যা চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৫ জুনের সেনা সংঘর্ষে। দুই পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে রক্তাক্ত এই সংঘর্ষে ২৩ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। চীনা পক্ষেও ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। তিন সপ্তাহ পরে, উভয় পক্ষের বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মধ্যে কথোপকথনের পরে উভয় দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়েছিল।

তবে লাদাখ থেকে সেনা কিছুটা কমালেও পুরোপুরি সরায়নি চীন। এরপরই লাদাখেও বাড়তি বাহিনী সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বুধবারই লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনা কনভয়ের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনা সেনারাও এলএসি-এর অপর পাশে উপস্থিতি বাড়িয়ে তুলেছে। এই আবহে দু’ দেশ সেনা ও কুটনৈতিক পর্যায়ে তিনঘণ্টার বৈঠক বসবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, তাতে সুষ্ঠু সমাধান সূত্র কতটা বের হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার বলেছেন, ‘লিপুলেখ পাস, উত্তর সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশে এলএসির অপর পাশে সেনা বৃদ্ধি করেছে চীন।

নেপালের হিমালয়ান এলাকায় তিব্বত সীমান্তে লিপুলেখ ও উত্তরাখণ্ডের সংযোগকারী ৮০ কিলোমিটার রাস্তা উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তারপরই মে মাসে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। আর এরপর পিথোগড় জেলা বরাবর নেপাল সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল কাঠমান্ডু, যাতে উত্তেজনা আরো বাড়ে। তবে এখন ফের বিতর্কিত এলাকা বরাবর চীনা সেনার বাহিনী মোতায়ের খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


শর্টলিংকঃ