লুকিয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল গঠন, ক্ষুব্ধ পদবঞ্চিতরা


ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলকে ঘিরে দলে নানা টানাপোড়েনের মধ্যেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত প্রার্থীদের গোপনে জড়ো করে বাকিদের বাদ রেখে কাউন্সিল করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে পদবঞ্চিতরা।

জানা গেছে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতভর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় ছাত্রদলের কাউন্সিল শুরু হয়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাউন্সিলর, প্রার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সে বৈঠক থেকেই মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় রাতেই কাউন্সিল গঠন করা হয়।

এমন প্রেক্ষাপটে পদপ্রত্যাশীদের অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন। অভিযোগকারী নেতারা বলছেন, কাউন্সিল নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে আমাদের অনেককে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো পদ দেয়ার জন্য। এ জন্য যারা লাভবান হয়েছেন তাদের জবাবদিহি করতে হবে। নতুবা কাউন্সিলের বিপক্ষে গিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের পদবঞ্চিত একজন ক্ষুব্ধ নেতা বলেন, দুঃখের বিষয় হলো- নিজের সংগঠনের বিরুদ্ধে নিরুপায় হয়ে কথা বলতে হয়। সিন্ডিকেটের বিস্তার দলের ভেতরে যেভাবে বেড়েছে তার ভুক্তভোগী হই আমরা যারা দলের জন্য কাজ করি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আবারও বঞ্চিত হলাম। সিন্ডিকেটের সদস্যদের পছন্দসই নেতাদের নিয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল করা হয়েছে। পূর্ব কোনো ঘোষণা না দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কাউন্সিল গঠন নিশ্চয় ভালো কোনো বার্তা বহন করে না? আমরা ফের আদালতে যাব। আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি নিয়ে আমরা সোচ্চার হব।

ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। তবে ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক কমিটির এক নেতার করা মামলায় এ কাউন্সিলের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দেন এবং একই সঙ্গে বিএনপির নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা না মেনে গোপনে কাউন্সিল করলো বিএনপি।


শর্টলিংকঃ