- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

শর্ত ভেঙে শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলী : বিব্রত ডিপিইও  কার্যালয়


নিজস্ব প্রতিবেদক :

শর্ত ভেঙে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সানাউল্লাহকে বদলীর আদেশ  দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বিএড কোর্সে ডেপুটেশনে প্রশিক্ষণে আছেন। অথচ ডেপুটেশনের শর্তানুযায়ী এ ধরনের বদলী করা যাবে না। প্রাথমিক  শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন কাণ্ডে বিব্রত খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসও। বিষয়টি অবহিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে (স্মারক নং ৩৮.০১.০০০.৬০১.১৮.০২২.১৮-১৬৯(৭)১৬৫০ তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮) বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা অফিসার মো. সানাউল্লাহ্কে রাজশাহী টিটি কলেজে বিএড কোর্সে প্রশিক্ষণে এক বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর-২০১৯) জন্য ডেপুটেশনে পাঠানো হয়। একই আদেশে শর্তাবলীর ‘গ’ অনুযায়ী ‘ডেপুটেশনকালে  নিজ কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না এবং তার স্থলে অন্য  কাউকে নিয়োগ করা যাবে না’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

 

অথচ এই শর্ত ভেঙে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক  (প্রশাসন-১)  মো. আব্দুল আলীম  স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে (স্মারক নং ৩৮.১০১.০১৯.০০.০০.০০২.২০১৭-১৯৯ তারিখ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯) বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা অফিসার হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা শিক্ষা অফিসার মোসা. নাজমা খাতুনকে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে। আর বিএড কোর্সে ডেপুটেশনে থাকা বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা অফিসার মো. সানাউল্লাহকে বদলী করা হয়েছে সাতক্ষীরা সদরে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন স্ববিরোধী আদেশে বিব্রত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

এ অবস্থায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং –জেপ্রাশিঅ/রাজ:/১২১৭ তারখি: ০১/৯/২০১৯) বিষয়টি অবহিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, অধিপ্তরের কোনো আদেশই আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না। তাই থানা শিক্ষা অফিসার সানাউল্লাহর বিষয়টি অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ পেলে তা কার্যকর করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের এমন স্ববিরোধী আদেশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি থানা শিক্ষা অফিসার মো. সানাউল্লাহ। তবে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচনায় নিতে হবে।