শহীদ ফারুক স্মৃতিস্তম্ভে জয়পুরহাট জেলা সমিতির শ্রদ্ধা


রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যায়নরত জয়পুরহাট জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা শহীদ ফারুকের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শহীদ ফারুক দিবস উপলক্ষে শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের সামনে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পাঙ্গ অর্পণ করা হয়।

এসময় রাবি জয়পুহাট জেলা সমিতির সভাপতি ওয়াহেদ, সহ-সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রানা খায়রুল ও সদস্য আতিক, মেঘ, রুবেল, সবুজ, হালিম, মেহজাবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । এছাড়াও শহীদ ফারুকের বোন আসমাও উপস্থিত ছিলেন।

ফারুকের বোন আসমা বলেন, আমার ভাইকে জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। হত্যার প্রায় ৯ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার পায়নি । হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে আমার ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের হত্যার পর সেই সময়ের উপাচার্য সোবহান স্যার (বর্তমান উপাচার্য) আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে নিম্ন সহকারি পদে অস্থায়ীভাবে একটি চাকুরি দেন। চাকুরিটি স্থায়ী করার ব্যাপারে উপাচার্য স্যারের কাছে অনেকবার গিয়েছি। স্যার এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত স্থায়ী করা হয়নি। চাকুরিটি স্থায়ী করা হলেও আমার পরিবারটা স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চলতে পারবে।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রানা খায়রুল বলেন, শহীদ ফারুক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। দ্রুত হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। একইসঙ্গে ফারুক ভাইয়ের বোনের চাকুরি দ্রুত স্থায়ীর জোর দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে জামাত-শিবিরের নেতার্কর্মীরা ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পরে তাকে ম্যানহোলে ঢুকিয়ে রাখা হয়। ফারুক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। হত্যার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার এতদিন পার হয়ে গেলেও কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।

আরও পড়তে পারেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সবাই, খোঁজ রাখে নি কেউ


শর্টলিংকঃ