শারমিনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২০ অক্টোবর


ইউএনভি ডেস্ক:

নকল ও নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।


রোববার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ তা দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে শারমিনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরদিন এ মামলায় আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন শারমিন। বর্তমানে তিনি ঢাবি প্রশাসন-১ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার (সাময়িক বরখাস্ত)।

নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে ২৩ জুলাই মামলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে মাস্ক সরবরাহের অনুমতি পায় শারমিনের প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নকল মাস্ক সরবরাহ করে। এ মাস্ক ব্যবহার করে চিকিৎসক ও রোগী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। একই সঙ্গে নকল মাস্ক সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ লটে যথাক্রমে ১ হাজার ৩০০, ৩৬০, এক হাজার এবং ৭০০ পিস ফেস মাস্ক সরবরাহ করে।

এর মধ্যে ১ম ও ২য় লটের মাস্ক গ্রহণ, বিতরণ ও ব্যবহারে কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু ৩য় ও ৪র্থ লটের মাস্ক বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। মাস্কগুলোর গুণগত মান স্পেসিফিকেশন অনুসারে পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছিঁড়ে গেছে। কোনো কোনো ফেস মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তৈরি সামগ্রীতে ইংরেজিতে বানান ভুল থাকার কথা নয়। কোনো কোনো মাস্কে নিরাপত্তা কোড ও লট নম্বর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত প্রমাণসিদ্ধতা বা সঠিকতা যাচাই করা যায়নি। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে মাস্কের গুণগত মান নিম্নমানের।


শর্টলিংকঃ