শিক্ষাব্যবস্থা যে ঢেলে সাজাতে হবে, করোনাকাল তা বলে দিল


ইউএনভি ডেস্ক:

শিক্ষা ওপরে ওঠার সিঁড়ি না। শিক্ষার আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, যেখান থেকে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। অথচ, সে শিক্ষা আজ বহু দূরে। অন্তত শিক্ষা ব্যবস্থা যে ঢেলে সাজাতে হবে করোনাকাল তা বলে দিল।

বলছিলেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। করোনা মহামারি, শিক্ষা, মানবিকতা প্রসঙ্গ নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

হাসান আজিজুল হক বলেন, ‘সময় গড়িয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটল। শিক্ষার ধরণ, বিষয়বস্তুরও পরিবর্তন ঘটল। কিন্তু সাধারণ উপলব্ধি থেকে মনে হয় শিক্ষার অবনমন হয়েছে। এজন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যাবে না। সার্বিক ব্যবস্থার অবনতি’।

‘আসল প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষকে কী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে! শিক্ষা পেয়ে মানুষ ভেতর থেকে শিক্ষিত হন। সামাজিক অগ্রগতির সঙ্গে পরিবর্তন সাধিত হয়। মানুষ মানবিক হওয়ার আলো পায়। অথচ এক আঁধার ঘিরে ধরছে সমাজ-সভ্যতাকে। সমাজ-মানবিকতার প্রশ্নে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং করোনা মহামারি তা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে’।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার দাবি জানিয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বিশাল জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালে মনে হবে আমরা বড় দীন-দারিদ্র্যর মধ্যে আছি। প্রকৃত শিক্ষা থেকে মানুষ বঞ্চিত। অথচ গ্রামের এই সাধারণ মানুষেরাই আমাদের খাওয়ায়-পরায়। ভদ্রলোকেরা তো আসলে কিছু করে না। অন্তত এটি মনে রাখা উচিত যে, উচ্চবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্তরাও উৎপাদনে সরাসরি সম্পৃক্ত না’।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষদের অজ্ঞ রাখলে সবই নষ্ট হয়। সেখানে গণতন্ত্রও অর্থবহ থাকে না। গণতন্ত্রে স্বৈরতন্ত্র ভর করে। এ কারণে আমি মনে করি, রাষ্ট্রের অন্যত্র ব্যয় কমিয়ে শিক্ষায় ব্যয় আরও বাড়ানো দরকার। অর্থবহ শিক্ষা সর্বস্তরের মানুষে বিরাজ করলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব’।


শর্টলিংকঃ