Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ


বিশেষ প্রতিবেদক :

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম।  বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিএমডিসির অনুমোদন না থাকার পরও সাত বছর ধরে অবৈধভাবে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের বিরুদ্ধে। 

ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন না  থাকায়  ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর বেসরকারী শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর। এরইমধ্যে এমবিবিএস পাস করে বেরিয়ে গেলে অনুমোদন না থাকায় ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশীপ করতে পারছেন না। এখন যারা মেডিকেল কলেজটি পড়ছেন তাদের অভিষ্যৎও একরকম। তাই এর প্রতিবাদে গেল এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানায়, এই কলেজের প্রথম ব্যাচে ভর্তি হয়েছিল ১৮জন। কিন্তু নীতিগত অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় শিক্ষক এবং প্র্যাক্টিক্যাল সরঞ্জাম না থাকায় ১৪চন শিক্ষার্থীই  শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ ছেড়ে চলে যায়।এরপরও যারা এমবিবিএস কোর্স শেষ করেছেন তারাই পড়েছেন বিপদে। বিএমডিসির অনুমোদন না থাকায় তারা পাস করেও ইন্টার্ন করতে পারছেন না।  ফলে তারা এমবিবিএস পাশ করেও ডাক্তারি পেশায় যেতে পারছেন না।

এই মেডিকেল কলেজ থেকে প্রায় এক বছর আগে এমবিবিএস পাস করা শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ ও জান্নাত  বলেন,  কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। তার কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক ( প্রফেসর) নেই। অনুমোদন নেই বিএমডিসির। ক্লাস হয় না। এখানে ভর্তি হওয়ার পর আমার তার ছলচাতুরী জানতে পারি। তিনি এখান থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে নানা ফি’র নামে লাখ লাখ নিয়ে অন্য জায়গায় ডেন্টাল কলেজ করছেন। অথচ আমাদের সমস্যা নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। কিছু বললেই শুধু সময়ক্ষেপণ করেন। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।এ অবস্থায় গেল  ৮ ফেব্রুয়ারি হতে ক্লাস বর্জন চলছে ।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

এদিকে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীন  বলেন,একের পর এক নানা সমস্যার কারণে আমরা এখনো দাঁড়াতে পারি নি।  তবে বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শনও করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে। হয়তো দ্রুত আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো।

সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত মোট সাতটি ব্যাচে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় কলেজটিতে। এর মধ্যে প্রথম ২ ব্যাচ ও চতুর্থ ব্যাচে ২৫ জন করে এবং পরবর্তিতে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন মেলে। তবে কলেজটিতে শুরু থেকেই অনুমোদন না থাকা, শিক্ষক সংকট এবং হাসপাতালে রোগী না থাকায় আসন ফাঁকায় থেকে যায়।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কলেজে পরিদর্শন শেষে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন দেয়। কিন্তু সেখানে ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে এই অনিয়ম রাবি কলেজ পরিদর্শকের নজরে আসার পর ২০১৬ সালে সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সদুত্তর না পাওয়ায় সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়তে পারেন মার্চেই তাপমাত্রা পৌঁছাবে ৩৮ ডিগ্রিতে


Exit mobile version