নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
ছেলের প্রেমের অপারাধে তিন ধরে হাজতে আটক রাখা হয়েছে চাচা ও দুলাভাইকে। এমনকি তাদের হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিবগঞ্জ থানায়।
জানা গেছে,উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের জোহরপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর স্কুল পড়–য়া মেয়ের সঙ্গে কানসাট ইউনিয়নের বাগ দূর্গাপুর গ্রামের তোহরুল ইসলামের ছেলে আশিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের জের ধরে গত শনিবার দুপুরে বাড়ী হতে পালিয়ে যায় তারা।
এনিয়ে বোন কে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে থানায় লিখিত অভিবযোগ করেন স্কুল ছাত্রীর ভাই জাহিদ হাসান। অভিযোগটির তদন্ত পান এসআই আবদুল মতিন। এর পরে রোববার রাত সাড়ে ১০টার সময় নিজ বাড়ী হতে ছেলে আশিকের বৃদ্ধ বাবা তোহরুল ইসলাম ও মা নাজিরা বেগম কে আটক করে থানায় আনা হয়। সেখানে প্রায় ২৫ ঘন্টা আটক রেখে মেয়েকে উদ্ধার এবং হাজিরার শর্তে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়াও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পলাতক আশিকের চাচা আম ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন কে থানায় ডেকে এবং দুলাভাই হাবিবুল্লাহ কে মনাকষার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে আটক করা হয়। এর পর হতে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
পলাতক আশিকের বৃদ্ধ মা নাজিরা বেগম জানান,আমার ছেলের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুজন দুজনকে ভালবাসে। তারা কোথায় পালিয়েছে আমরা কিছুই জানিনা। এমনকি আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের উদ্ধারে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করছে।
তিনি বলেন,ছেলের অপরাধে আমরাকে অন্যায়ভাবে পুলিশ আটক করে হয়রানি করছে তার দাবি-আমার জামাই হাবিবুল্লাহ ও দেবর মোফাজ্জল কে সোমবার রাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে পুলিশ মারধর করে। তাদের শরীরে এখনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার এসআই আবদুল মতিন অপহৃত স্কুল ছাত্রীর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আশিকের পরিবারের চার সদস্যকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নির্যাতরে বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন,অপহৃত স্কুল ছাত্রীর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার) দুপুর ১২টায় এখনও থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি। আশিকের মা নাজিরা বেগম,এক ফুপু,দুলাভাই হাবিবুল্লা ও চাচা মোফাজ্জল হোসেন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
