শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো


রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)। সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ একসঙ্গে আয়োজন করছে এই প্রদর্শনী।

আইসিটি শিল্পকে পরের স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ: কোনও কিছুই অসম্ভব নয়’।

আইসিটি শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য এবং আইসিটি পরিষেবা তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে একত্রে প্রদর্শন করে দেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সব ব্যবসায়ী। এ ছাড়াও স্থানীয় এবং বিদেশিদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী এক্সপোতে অংশ নেবেন। যেখানে তারা স্থানীয় উদ্ভাবনগুলো দেখবেন এবং সেটি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। ইভেন্টের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের দশ বছরের সাফল্যগুলো বিভিন্ন সেমিনার এবং ব্রেকআউট সেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনি, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, টেকনো মোবাইল, ভিভো, এলজি, নিটল এবং আমরার মতো দেশের প্রায় সমস্ত বড় আইসিটি পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনকারী সংস্থা এক্সপোতে অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের পরিষেবা এবং মূল সরঞ্জাম উৎপাদন (ওইএম), সিকিউরিটি এবং তত্ত্বাবধানের বিষয়, তাদের এন্টারপ্রাইজ সলিউশন, টেলিকম, ক্লাউড কম্পিউটিং, সরকারি সেবা, গেমিং-সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করবে।

বিসিএস সভাপতি মো. শহিদ-উল-মুনীর বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি নিয়মিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। আইসিটিতে দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে এই প্রদর্শনী সবার জন্যই শিক্ষণীয় হবে।

আর তাই দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানদের অংশগ্রহণে দেশে তৈরি প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব থেকে আগত অতিথিরাও দেশের দ্রুত সমৃদ্ধ হওয়া এ খাতের সফলতা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবে।

বাংলাদেশ সরকারের এটুআই ইনোভেশন ল্যাব তাদের প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষিক্ষেত্র, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, মেয়েদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, আইন, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্যোগগুলো প্রদর্শন করবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যদ্রব্যসমূহ প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিতে আগ্রহী তরুণদের অংশগ্রহণকে এক্সপো চলাকালে সমানভাবে উৎসাহিত করা হবে।

অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রামগুলো বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পণ্যগুলো পিচ করার সুযোগ পাবে। অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রামগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে এবং প্রদর্শনীটি শেষ হওয়ার পরে শীর্ষ ১০ তরুণ উদ্ভাবককে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দিয়ে ভূষিত করা হবে।

মেলা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই এক্সপো বাংলাদেশের আইসিটি, টেলকো এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারীদের প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাদের পণ্য বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে প্রচারকার্যে সাহায্য করবে।

ইভেন্টটি যৌথভাবে সমর্থন করবে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ); বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (জিওবি) এবং বাংলাদেশ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল; বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য); ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি); বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ।


শর্টলিংকঃ