Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

শেষ সময়ে রাজশাহীর আমের বাজারে আগুন


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজশাহীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে সব ধরনের আমের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। এরইমধ্যে বাজার থেকে জাত আম খ্যাত গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ বিদায় নিয়েছে। আর হাতেগোনা কয়েকটি বাগানেই রয়েছে আরেক জাত আম ক্ষিরসাপাত (হিমসাগর)।


রাজশাহীর বাজারে প্রতি মণ ক্ষিরসাপাত আম বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেই এই আম ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আমের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সপ্তাহের আর মাত্র ২-৩ দিনেই রাজশাহীর বাজারে ক্ষিরসাপাত আম পাওয়া যাবে। তারপর থেকে উঠবে অন্য জাতের আম। বলতে গেলে বর্তমানে ল্যাংড়া আমই একক রাজত্ব করছে রাজশাহীর আম বাজারে।

তবে সেই আমও ফুরোতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহেই। এর পরপরই বাজারে পাওয়া যাবে সুরমা ও মহারাজসহ বিভিন্ন নামের সুস্বাদু ফজলি, আম্রপালি ও তোতাপুরিসহ নতুন নানা জাতের আম। সর্বশেষ জুলাই মাসের শেষ দিকে বাজারে উঠবে আশ্বিনা জাতের আম।

নগরীর শালবাগানের আম ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মিনার বলেন, জুন মাস প্রায় শেষ। তারপরও আম পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষিরসাপাত ও ল্যাংড়া আম পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে রমজান মাসে জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত সময়ে এবার ব্যবসায়ীরা আম ভাঙেননি। কারণ রমজান মাসে সাধারণত আমের বাজার মন্দা থাকে। এজন্য সবার টার্গেট ছিল ঈদের পরের বাজার ধরার।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার জেলার সবচেয়ে বড় আমের মোকাম। সেখানকার আম ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, মৌসুম প্রায় শেষ দিকে। প্রথম দিকে রমজানের কারণে কেনাবেচা হয়েছে কম। কিন্তু ঈদের পর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে আম নিয়ে যাচ্ছেন রাজশাহী থেকে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক  জানান, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন কমার কারণে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নাও হতে পারে। তবে এতে সমস্যা হবে না। যে ফলন হবে তা দিয়ে রাজশাহীসহ সারা দেশের আমের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

 


Exit mobile version