সকাল ন’টার পরই অকেজো ‘রেলসেবা’ অ্যাপ !


নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঈদ উপলক্ষে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি। আজ দেয়া হয় ৭ জুনের টিকিট। তবে দুর্ভোগ কমাতে এবারই প্রথম অনলাইনের জন্য টিকিট রাখা হচ্ছে ৫০শতাংশ। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, তারা রেলসেবা অ্যাপসে লগইন করতেই পারছেন না।তবে কাউন্টারে টিকিট কাটা নিয়ে অসন্তোষ নেই।

ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে টিকেটের জন্য গতকাল সন্ধ্যা থেকেই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয় বহু যাত্রী। টিকিট কাউন্টারের সামনেই শুয়ে বসে রাত পার করেছেন তারা। অনেকে আবার সেহরির পর থেকে ভিড় করছেন কাউন্টারের সামনে। অথচ এই দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষ এবারই প্রথম রেলসেবা অ্যাপ চালু করেছে। তারা বলছে, মোট টিকিটের অর্ধেকই মিলবে অ্যাপ থেকেই।কিন্তু যাত্রীরা বলছেন ভিন্ন কথা।

রেলস্টেশনে আসা মামুনুর রশিদ জানান, সকাল ৯টার আগ পর্যন্ত রেলসেবা’ অ্যাপ  স্বাভাবিক ছিল। অ্যাপে প্রবেশ করে দেখা যায়, বরাদ্দকৃত সব টিকিটই অবিক্রিত আছে। কিন্তু টিকিট বিক্রির সময় ঠিক  ঠিক ৯টা পর থেকেই অ্যাপে আর প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

স্টেশনে টিকিট কাটতে আসা হুমায়রা বেগম জানান, কোনদিন কোন ট্রেন বন্ধ থাকবে তার কোনো নোটিশ টাঙানো নেই কাউন্টারের সামনে। ফলে টিকিট কাটতে এসে ৩-৪ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কাউন্টারে গেলে জানানো হচ্ছে, ওই ট্রেন বন্ধ। এটিও দুর্ভোগ যাত্রীদের জন্য। এনিয়ে রেলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলামের কাছে সরাসরি অভিযোগও করেন এক নারী।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে অভিযোগ করছেন এক নারী  -আবু সাঈদ

এদিকে প্রথম দিনের ফিরতি টিকিট বিক্রির কার্যক্রম দেখতে সকাল ১০টার দিকে স্টেশনে যান রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম। এসময় তিনি জানান, প্রায় ২৫ থেকে ৩০হাজার টিকিট প্রত্যাশী একইসঙ্গে অ্যাপে প্রবেশ করছে। একারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামীতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরো বাড়বে। তখন এ সমস্যা থাকবে না।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন ও প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী অসীম কুমার তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন ঈদের দিন ধরে ৩০মে বিক্রি হবে ৮জুনের টিকিট, ৩১ মে ৯জুনের, পহেলা জুন ১০জুনের এবং ২জুন টিকিট মিলবে ১১জুনের। কাউন্টারে আসা যাত্রীদের খুব একটা অভিযোগ নেই প্রথমদিনের টিকিট পাওয়া নিয়ে।

রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর প্রতিদিনের টিকিটসংখ্যা চার হাজার ৬৬৩। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।

 

 


শর্টলিংকঃ