Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

সড়ক বিভাগের গাফিলতি : চাষীরা মাটি সরিয়ে বাঁচালেন ধান


রাজেকুল ইসলাম, রাণীনগর:

নওগাঁর রাণীনগরে সরকারী ভাবে চিঠিপত্র চালাচালির দেড় মাসেও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি উদ্দ্যেগেই রক্ষা পেল ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২লাখ কৃষকের ৭হাজার হেক্টর জমির পাকা ইরি-বোরো ধান।

জানগেছে, নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও ঢিমেতালের গতির উপর ভরসা না করে পাকা ধান রক্ষা করতে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টুর নেতৃত্বের চাষীরা ৪টি বিল-খালের ১২টি সেতু-কালভার্টের মুখ থেকে মাটি অপসারণ করেন।

পাকা ধান বাঁচাতে রক্তদহ বিলের খালের মাটি অপসরণের জন্য নির্বাহী অফিসার আল মামুন ২৪ মার্চ চিঠি নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দিলেও কোনো কাজ হয়নি । গত সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি শুরু হলে রক্তদহ বিলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৭হাজার হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধান তলিয়ে যাওয়া শুরু করে।

উপজেলার মধ্য রাজাপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী, ইয়াছিন আলীসহ অনেকেই ক্ষোভের সাথে বলেন, সড়কে কাজ করার সময় খালের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করায় বৃষ্টিতে বিলের পানি বেড়ে ধান তলিয়ে যাওয়া শুরু করলে পাকা ধান বাঁচানোর জন্য নিজেরাই বাঁধ কেটে দিয়ে ফসল রক্ষা করেছি।

নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক ইতিপূর্বে বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কাজ পিছিয়ে গেছে ও প্রতিটি সেতু-কালভার্টের মূখে মাটির নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দেয়া আছে।

প্রসঙ্গত: রাণীনগর বাসষ্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার কাজ করে গিয়ে রক্তদহ বিল থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা রতনডারী খাল, রক্তদহ খাল, সিম্বা খাল ও করজগ্রাম খালের মুখসহ ১২টি সেতু কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেয়।


Exit mobile version