Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

সপ্তাহ না ঘুরতেই মারা গেলেন রাবি শিক্ষক রাসেলের বড় ভাইও


নিজস্ব প্রতিবেদক:

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৫ মে মারা যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেল। সেই এখনও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবার। এবার শোকাতুর পরিবারের আরেক সদস্য পাড়িয়ে জমিয়েছেন ওপারে।


রোববার (১০ মে) দুপুরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিজ বাড়িতে বুকে ব্যাথা উঠে মারা গেছেন ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেলের আরেক ভাই মশিউর রহমান মুক্তি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ৃরাজিউন)। রাত সাড়ে ১০টায় নামাজে জানাজার পর পারিবারিক গোরস্থানে রাসেলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার সূত্র।

ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেলের চাচা আব্দুল মতিন বলেন, ‘জোহরের নামাজের পর মশিউর রহমান মুক্তির বুকে ব্যাথা শুরু হয়। গ্যাসের ব্যাথা ভেবে ওষুধ খান। পরে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান। প্রথমে তাকে গ্রামের চিকিৎসক দেখানো হয়। পরে ওই চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমরা তাকে চন্দ্রগঞ্জ ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে মশিউর হরমান মুক্তি বিবাহিত ছিলেন। তার বড় মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট সন্তানের বয়স চার বছর।’

গত ৫ মে ভোর রাতে মারা যান ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেল। প্রায় দুই দশক আগে তাদের বড় ভাই মিজানুর রহমান বিপ্লব হংকং-এ মারা যান। তিনি এর আগে উপজেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।

বিপ্লবের মৃত্যুর আগে তাদের আরও এক বোনেরও মৃত্যু হয়েছিল। রাসেল ও মুক্তির বাবা-মা জীবিত আছেন। তাদের আরও দুই বোন এবং এক ভাই রয়েছে। মুক্তি প্রবাসী ছিলেন। কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন।


Exit mobile version