সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই মোদি-শির বৈঠক হতে যাচ্ছে


ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।


দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই শুক্রবার এই বৈঠক হতে যাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বাণিজ্য, সীমান্ত বিতর্ক ও বিভিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ দুটির মধ্যে মন কষাকষির কয়েক মাস পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরাম শহরে ওই বৈঠকের কথা এখনো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি। প্রাচীন মন্দির ও স্থাপনার জন্য শহরটি বিখ্যাত।

তবে দ্বিতীয় আরেকটি ভারত-চীন অনুষ্ঠানিক বৈঠকের জন্য গণমাধ্যম নিবন্ধন শুরু হয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরতীরের শহরটিতে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের এপ্রিলে চীনের উহানে প্রথমবারের মতো অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের পর মোদি ও শি জিনপিং মামাল্লাপুরামের আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে ঘোরাঘুরি করবেন।

হিমালয় অঞ্চলে বিতর্কিত সীমান্ত ফাঁড়ি নিয়ে দীর্ঘ উত্তেজনা চলছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে।

শি জিনপিং শনিবার ভারত ছাড়বেন বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে নেপালি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বৈঠকের পর সপ্তাহান্তে তিনি কাঠমান্ডু সফরে যাবেন।

ভারত সরকার অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর নয়াদিল্লির সমালোচনা করে বেইজিং। এতে ঐতিহাসিকভাবে বৈরী দেশদুটির মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।

কাশ্মীরের বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল লাদাখকে আলাদা একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণায় ভারতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বেইজিং।

লাদাখের কিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। তিব্বতের পূর্বে ও জিনজিয়াংয়ের উত্তরে হিমালয় সীমান্তে এই অঞ্চলটি অবস্থিত।

আগস্টে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, একতরফাভাবে নিজেদের আইন সংশোধন করে চীনের ভূখণ্ডগত সার্বভৌমত্ব খর্ব করেছে ভারত।


শর্টলিংকঃ